অবৈধ বালু উত্তোলনে ১০ জনের দণ্ড, ৩ জনের জরিমানা
জাতীয় ডেস্ক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের যমুনা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি মহল। বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দিনব্যাপী কাকুয়া ইউনিয়নের গয়লা হোসেন ও গোপাল কেউটিল এলাকায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতে তিন জনকে জরিমানা ও ১০ জনকে জেল দেওয়া হয়।
ম্যাজিস্টেট মো. খায়রুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে আসছিল প্রভাবশালী একটি মহল। এই অবৈধ বালু ভলগেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পিরোজপুরের ভান্ডারি উপজেলার আতরআলী গ্রামের আ.গফুর মোল্লার ছেলে মো. পারভেজ, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ গ্রাসের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আক্তার হোসেন, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পাথাইলকান্দি গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলো রফিকুল ইসলাম, বরিশালের ইদিলকেটি গ্রামের বাদল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ মিয়া, সিরাজগঞ্জের খাসকাউলিয়া গ্রামের মো. আনোয়ার সিকদারের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, একই জেলার ভাঙ্গাবাড়ি চর গ্রামের খাদেম আলী আকন্দর ছেলে মো. লিয়াকত আলীকে তিন মাসের, বেলকুচি উপজেলার বেলের চর গ্রামের সামাদ মোল্লার ছেলে আলমগীর, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিল দহর গ্রামের মো. আক্কাস আলীর ছেলো মো. রাজিব হোসেনকে পনের দিন এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি গ্রামের মো. আকবর আলী মোল্লার ছেলে হাসেম মোল্লাকে সাত দিন ও আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে মিজানুর মিয়াকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে আবু বক্কর, আবু বক্করসহ তিন জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।