আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ এপ্রিল ২০২২, সোমবার |

kidarkar

এজেন্ট ব্যাংকিং-এ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক গ্রাহকদের সেবাকে ঘরে পাশে নিয়ে আসার জন্য ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং-এর যাত্রা শুরু হয়। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের দৌড়গোরায় চলে আসায় দিন দিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। একই সাথেসাথে বাড়ছে আমানত ও ঋণের পরিমাণ। শহরের তুলনায় প্রান্তিক জনগণের কাছেই বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই সেবার মাধ্যমে রেমিট্যান্সও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত এক বছরে এ সেবাটির মাধ্যমে ৮২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েঠেন বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত বছর শেষে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৮২ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা যা একই বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক অপেক্ষা ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে এজেন্টের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে বেসরকারিখাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এ ব্যাংকের মাধ্যমেই মোট আসা প্রবাসী-আয়ের ৫৪ শতাংশই এসেছে। এর পরেই রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (২৪ শাতংশ), ব্যাংক এশিয়া (১১ শতাংশ), আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান।

আলোচিত বছর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯১টি। এসব হিসাবধারীর আমানতের পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। যা তার আগের বছর অপেক্ষা আমানত বেড়েছে ৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। এসব আমানতের মধ্যে শহরে ২ হাজার ৩৩ কোটি এবং গ্রামে ২২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার আমানত রয়েছে। ২০২০ সালে আমানতের পরিমাণ ছিলো মোট ১৫ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

বেড়েছে ঋণ বিতরণ। ২০২১ সাল শেষে এ সেবাটির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। যা তার আগের বছর ২০২০ সাল শেষে ছিলো ১৮৯ কোটি টাকা অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর পরেই রয়েছে ব্যাংক এশিয়া, দি সিটি ব্যাংক। গত বছরে এ সবার মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ হয়েছে ১৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার।

এজেন্ট ব্যাংকিং এ এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯১টি। এর মধ্যে শহরে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৪টি এবং গ্রামে এক কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৭টি। আর তার আগের ২০২০ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিয়ের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩টি। বছরের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ লাখ ৪ হাজার ৩২৮টি

এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যাও বাড়ছে। গত বছর শেষে মোট ২৯ ব্যাংক ১৩ হাজার ৯৫২টি এজেন্টের আওতায় ১৯ হাজার ২৪৭টি আউটলেটের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুরো দেশে। এর মধ্যে শহরে এজেন্ট রয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর গ্রামে রয়েছে ৮৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। শহরে আউটলেট রয়েছে ১৩.৭৫ শতাংশ আর গ্রাম পর্যায় রয়েছে ৮৬.২৫ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিতে বড় ভূমিকা রাখছে এজেন্ট ব্যঅংকিং। মূলত দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকেও ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিতে কাজ করছে ব্যাংখ। এতে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ব্যয়সাকে নিরাপদ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং সাশ্রয়ী করতে ব্যাংকিং সেবা তাদের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স অল্প সময়ের মধ্যে হাতে পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। এছাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ নানা ইউটিলিটি বিলও দিতে পারছেন তারা। এসব সেবার কারনে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের।

২ উত্তর “এজেন্ট ব্যাংকিং-এ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.