আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মে ২০২২, বুধবার |

kidarkar

পরিধি বাড়ছে মুন্নু ফেব্রিক্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় উপমহাদেশে মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড নেতৃস্থানীয় কম্পোজিট টেক্সটাইল শিল্প হিসেবে ১৯৯৪ সালে ১১’শ ৫০ মিলিয়নের মূলধন নিয়ে (পরিশোধিত মূলধনসহ) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে রয়েছে স্পিনিং, উইভিং, ইয়ার্ন ডাইং, ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং এবং গার্মেন্ট ওয়াশিং।

মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের স্পিনিং সেকশনে স্পিন্ডেল ও রোটর দিয়ে ১০০ শতাংশ তুলা উৎপন্ন হয়। উইভিং সেকশনে রয়েছে সুদাকোমা এয়ার-জেট সোমেট এবং সুমিত রেপিয়ারের মত অত্যাধুনিক অসংখ্য তাঁত। ফলে এটি বিভিন্ন ধরনের পপলিন, চেক, স্টাইপ, টুইল্স এবং ডবি উৎপাদনে সক্ষম। ওভেন ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং সেকশনে রয়েছে নিজস্ব ল্যাব।

এছাড়া ফিনিশিং ইউনিক ইজিকেয়ার, রিংকল-ফ্রি, ওয়াটার রিপেলেন্ট, পিচ ফিনিশ, ওয়াক্স কোটেড, পেপার টাচ এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে কাপড় তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এ সকল কাপড়ের একসময়ে প্রধান ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপান। বর্তমানে প্রচ্ছন্ন বিক্রেতা হিসাবে এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রফতানি করছে।

বিগত পাঁচ অর্থ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের বিক্রয়মাত্রা ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৬-২০১৭ সালে বিক্রয় ছিল টাকা ৪৭৪.৩৯ মিলিয়ন, ২০১৭-১৮ সালে বিক্রয় ছিল টাকা ৫৯৭.১৯ মিলিয়ন, ২০১৮-১৯ সালে বিক্রয় ছিল টাকা ৯৮৮.২১ মিলিয়ন, ২০১৯-২০ সালে বিক্রয় ছিল টাকা ১,০৭১.০৭ মিলিয়ন এবং ২০২০-২১ সালে বিক্রয় ছিল টাকা ১,২৬৪.০২ মিলিয়ন। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০২০-২১ সালের বিক্রয় বেড়েছে ১১২ শতাংশ।

গত ২৮ এপ্রিল ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির উপ-বাবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাশীদ সামিউল ইসলাম। তিনি র্য্যাংকিংয়ের দিক থেকে বিশ্বের ৮ম বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মাষ্টার্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ইম্পেরিয়াল বিজনেস স্কুল থেকে মাষ্টার্স ইন ম্যানেজম্যান্ট ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে জাপানের নিশান মটরস্ কর্পোরেশন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত রোলস্-রয়েল এ কর্মরত ছিলেন। তাঁর অর্জিত গবেষণা বর্তমানে কোম্পানীর কাজে সম্পূর্নরুপে নিয়োজিত করেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও গতিশীল প্রচেষ্ঠায় স্বল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানীটি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এর ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এবারের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) সর্বোচ্চ বিক্রয় ছিল টাকা ৩৪০.৭০ মিলিয়ন এবং ইপিএস ছিল ০.০৫ টাকা। এই তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ ২০২২) মোট বিক্রয় ছিল টাকা ১,০৮৫.৩০ মিলিয়ন এবং ইপিএস দাড়াঁয় ০.১০ টাকা যেখানে গত তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ ২০২১) মোট বিক্রয় ছিল টাকা ৮৭০.৫৯ মিলিয়ন এবং ইপিএস ছিল ০.০৪ টাকা অর্থাৎ গততিন প্রান্তিকের তুলনায় এবার দ্বিগুনেরও বেশি লাভ হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের ব্যবস্থাপনায় গতিশীল নেতৃত্বাধীন, বিচক্ষণতা ও দক্ষকর্মী বাহিনীর সম্মিলিত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অচিরেই কোম্পানিটি তার সাফল্যের শীর্ষে পৌঁঁছাতে পারবে এবং হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.