হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
শেয়ারবাজার ডেস্ক:দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে হাজী সেলিম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসেন। পরে ঢাকার বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহীদুল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি মামলায় হাজী সেলিম জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা নামঞ্জুর করে দেন আদালত।
বিচারক বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ায় কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দি মর্যাদা পাবেন হাজী সেলিম। সেখানে তার সুচিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হবে।
এর আগে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রাণ নাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাজী সেলিম দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়েছেন আদালতে। যদি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন, তবে জেলে যেন প্রথম শ্রেণির বন্দি মর্যাদা পান তার আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে চিকিৎসার আবেদনও করেছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
চিকিৎসা শেষে হাজী সেলিম দেশে ফেরার পর ২৫ মের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার বাধ্যবাধকতা ছিল হাজী সেলিমের।তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করা হবে। সে প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রায় প্রদান করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সাজা বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর সেটি দুদকের পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর স্পিকার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল পৃথক দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১০ বছর ও তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম।