আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুন ২০২২, রবিবার |

kidarkar

ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের ভয়াবহ চিত্র

এ জেড ভূঁইয়া আনাস: করোনা মহামারীর কারণে ঋণ পরিশোধের জন্য নানা রকম সুবিধা থাকায় ব্যাংক খাতে খেলাপি প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা যাচ্ছিল না। কিন্তু এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই খেলাপি ঋণের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ অঙ্ক।

তিন মাস আগেও ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। আর গত বছরের মার্চের তুলনায় খেলাপি বেড়েছে ১৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা।

করোনা মহামারীর কারণে ঋণ পরিশোধের জন্য নানা রকম সুবিধা থাকায় ব্যাংক খাতে খেলাপি প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা যাচ্ছিল না। কিন্তু এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই খেলাপি ঋণের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ অঙ্ক।

তিন মাস আগেও ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। আর গত বছরের মার্চের তুলনায় খেলাপি বেড়েছে ১৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা।

আলোচিত সময়ে (মার্চ প্রান্তিক শেষে) রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা মোট ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিনত হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২০.০১ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট ঋণ বিতরণ করেছিলো ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। বিতরণকৃত এসব ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ৪৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯.২৮ শতাংশ।

মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। বিতরণ করা এসব ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৫৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫.৮৪ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। এসব ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৫১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫.৩১ শতাংশ।

চলতি বছরের মার্চ শেষে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ১২.০১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অংক ছিল ৩ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। যা এই অংক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ১২.০২ শতাংশ।

আলোচিত সময়ে (মার্চ শেষে) বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বিতরণকৃত এসব ঋণের মধ্যে দুই হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা বা ৪.৫৩ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। যা গত ডিসেম্বর শেষে ছিল গত ডিসেম্বর শেষে ছিল ২ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, বা মোট বিতরণ করা ঋণের ৪.২৯ শতাংশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ আহমেদ শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, ব্যাংকরার ডলারের দাম বৃদ্ধি, তেলের দাম নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। খেলাপি নিয়ে ব্যাংকারদের খেয়াল নেই। এখন ঋণ আদায় ঢিলে হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আরও কঠোর হতে হবে। এছাড়া কোভিডের পর কিছুটা মন্থর হয়েছে হয়েছে সবকিছু। এখন আবার ইউক্রেন সংকট আসায় একটা টালমেটাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে এক্সর্পোট কমেছে যাচ্ছে, রেমিট্যান্স কমেছে যাচ্ছে, ইমপোর্ট বাড়ছে। ইমপোর্ট পেমেন্ট পরিশোধে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। কিন্তু ঋণ আদায় করার ব্যাপারে রিলাক্স ভাব, এতে মূল স্তম্ভইতো দূর্বল হচ্ছে, খেলাপি বাড়ছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.