ডিএসই’র সপ্তাহিক লেনদেনের ২৪ শতাংশ ১০ কোম্পানির দখলে
শাহ আলম নূর : বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্য পরিবহনে জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়া ও টাকার
বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ধুঁকছে শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোও। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেনের ২৪.২৪ শতাংশ বেক্সিমকো লিমিটেডের নেতৃত্বে দশটি কোম্পানি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বেক্সিমকোর ১৪৫ কোটি টাকার ১.১৯ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫.২৫ শতাংশ।
সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহ দুড়ে কোম্পানিটির কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়েছে, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের৩.৫৪ শতাংশ।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড ৭৫.৪৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ২.৭২ শতাংশ।
প্রথম তিনটি কোম্পানির পরে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড (সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২.২২ বা ৬১.৬২ কোটি টাকা), কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড (২.১৭ শতাংশ বা ৬০ কোটি টাকা), ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড (১.৬ শতাংশ বা ৫৬.৩৬ কোটি টাকা) , তিতাস গ্যাস (১.৯৯ শতাংশ বা ৫৫.০৫ কোটি টাকা), ফরচুন সুজ (১.৭৭ শতাংশ বা ৪৯.১৭ কোটি টাকা), ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (১.১৮ শতাংশ বা ৩৫.৪৫ কোটি টাকা) এবং শাইনপুকুর সিরামিক (০.৮ শতাংশ বা ৪.৩২ কোটি টাকা) )
এদিকে, ঢাকা স্টক গত সপ্তাহে দেশে বিরাজমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত রক্ষণশীল নীতির কারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বেড়েছে। বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯৮ পয়েন্ট বা ৩.১ শতাংশ কমে ৬১২৭ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ, কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সম্প্রতি উদ্ভূত জ্বালানি সংকট
সহ বিভিন্ন সমস্যার কারনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা লক্ষ করা গেছে।
দেশের পু্ঁজিবাজারে গড় লেনদেন ২০.৮ শতাংশ কমে ৫৫০ কোটি টাকায় স্থির হয়েছে যা আগের সপ্তাহে ৭০০ কোটি টাকা ছিল।
বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ প্রাথমিকভাবে টেক্সটাইল (১৫.৪ শতাংশ), বিবিধ (১১.১ শতাংশ) এবং ফার্মা ( ১১ শতাংশ) খাতে কেন্দ্রীভূত ছিল।
/এসএ