দুই ব্রোকারেজ হাউজের আগ্রাসী শেয়ার বিক্রি, কঠোর বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন লঙ্ঘন করে দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রি করার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিতে বুধবার (২৭ জুলাই) তাৎক্ষণিক বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের পরিদর্শন দল পাঠিয়ে তা নিশ্চিত করা হয়। আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্রোকারদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
ব্রোকারেজ হাউজ দুইটি হলো-আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি এবং ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ।
জানা গেছে, একটি চক্র বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বিষয়টি বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে বেশকিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলো। তবে বুধবার ওই দুইটি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আইন ভঙ্গ করে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসী বিক্রি করার সংকেত পায় বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের পরিদর্শন দল পাঠানো হয় ওই ব্রোকারেজ হাউজ দুইটিতে। পরবর্তীতে আগ্রাসী শেয়ার বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্রোকারদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সফটওয়্যারে টাচলাইন প্রাইসের পরিবর্তে আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের জন্য দুটি ব্রোকারেজ হাউজে পরিদর্শন দল পাঠিয়েছে। আমরা ওসব আগ্রাসী বিক্রেতা এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্রোকারদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সূত্র জানায়, ডিএসই অটোমেটেড ট্রেডিং রেগুলেশনস ১৯৯৯ এর ২(ও) তে টাচলাইন প্রাইসের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে- বিক্রেতার ক্ষেত্রে ক্রেতার সর্বোচ্চ প্রস্তাবিত দর এবং ক্রেতার ক্ষেত্রে বিক্রেতার সর্বনিম্ন প্রস্তাবিত দরকে বুঁঝিয়ে থাকে টাচলাইন প্রাইস। কিন্তু সম্প্রতি একটি গ্রুপ বেশি দরে ক্রেতা থাকা সত্ত্বেও কম দরে শেয়ার বিক্রির দর প্রস্তাব করে নেতিবাচক অবস্থার তৈরি করেছে।