আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে পপ তারকা শাকিরা

বিনোদন ডেস্ক:কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। ২০১০ বিশ্বকাপের থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ দিয়ে দুনিয়া মাতিয়েছেন তিনি। রাতারাতি বনেছেন তারকা। বিশ্বের প্রভাবশালী তারকাদের তালিকায় উপরের দিকে তার নাম। সেই শাকিরার বিরুদ্ধে মোটা অংকের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ৪৫ বছর বয়সী গায়িকা শাকিরাকে প্রসিকিউটররা ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তার অর্জিত আয়ের ১৪.৫ মিলিয়ন ইউরো স্প্যানিশ ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।

এমনকি গায়িকা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য স্প্যানিশ প্রসিকিউটরদের দেওয়া একটি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রসিকিউটররা বলেছেন, তিনি ২০১১ সালে স্পেনে চলে যান। কারণ এফসি বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা তখনই প্রকাশ্যে আসে। তাকে বিয়ে করে তিনি স্পেনে চলে যান। যদিও তিনি ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাহামাসে থাকাকালীন অফিশিয়াল ট্যাক্স বজায় রেখেছিলেন।

এদিকে আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন শাকিরা।

শাকিরার আইনজীবীদের দাবি, বার্সেলোনার আদালতে বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো খবরে পৌঁছানো যাবে না। তবে শাকিরা তার এমন দোষ একেবারেই অস্বীকার করেছেন। তিনি তার নির্দোষতা সম্পর্কে একেবারে নিশ্চিত।

শাকিরার প্রতিরক্ষা দল যুক্তি দিয়েছে, শুধু ২০১৫ সালে সমস্ত ট্যাক্সের বাধ্যবাধকতা পূরণ করে স্পেনে চলে গিয়েছিলেন শাকিরা। এমনকি তিনি স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষকে ১৭.২ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছেন। তার অনেক বছর ধরে কোষাগারের কাছে কোনো ঋণ নেই বলে জানা গেছে।

শাকিরার প্রতিরক্ষা দল আরো বলছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক ট্যুর থেকে বেশির ভাগ অর্থ উপার্জন করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি যেহেতু স্পেনে ছয় মাসের বেশি বসবাস করেননি, তাই ট্যাক্স আইনের অধীনেও পড়েন না।

তবে বার্সেলোনার একটি আদালত মে মাসে এই গায়িকার অভিযোগ প্রত্যাহার করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। এমনকি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আর্থিক প্রতারণা নথিপত্রের একটিতে শাকিরার নামও ছিল, যা ‘প্যান্ডোরা পেপারস’ নামে পরিচিত।

 

শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.