খোলাবাজারের ডলারে দেড় টাকার বেশি মুনাফা নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: খোলাবাজারে ডলার ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ মুনাফার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী মানি চেঞ্জারগুলোকে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা মুনাফার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাজধানীর খোলাবজারের ডলার ১০৮ টাকায় ক্রয় ও ১০৯ টাকায় বিক্রয় হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখাপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ বুধবার মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক ও মহাসচিব মো. হেলাল সিকদারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের আহমেদ জামালের নেতৃত্বে অপর প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওই মুনাফার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানি চেঞ্জার্সদেরকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গড় রেট থেকে এক টাকা বেশি দামে ডলার ক্রয় করে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফা করতে বলা হয়েছে। এর আগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ মুনাফার সীমা এক টাকা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব মো. হেলাল সিকদার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঠক করেছি। তারা মুনাফার হার সর্বোচ্চ দেড় টাকা পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও ডলারের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছে। পামাপামি আমরাএ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে।’
মানি চেঞ্জার ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবগুলো হলো—অনুমতি প্রাপ্ত ২৩৫টি মানি চেঞ্জার ছাড়া সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা। আর মানি চেঞ্জারদের দিনশেষে ডলার রাখার সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজারে উন্নীতকরণ। এছাড়া সমিতির সদস্যদের পাসপোর্টে বার্ষিক এনডোর্স সীমা ১ হাজার ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ৫ হাজার ডলার করা। পাশাপাশি একটি পাসপোর্টে বছরে ১ হাজার ডলার এনডোর্স ও বিদেশগামীদের সঙ্গে করে ১২ হাজার ডলার বহনের অনুমোদন পুন:র্বিবেচনা এবং পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স সীমা ও ব্যাংক-কার্ডের লেনদেন সীমা সমন্বয় করা। অন্যদিকে মানি চেঞ্জিংয়ের ব্যবসা সনদ নবায়নে বার্ষিক ৫ হাজার ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের শর্ত প্রত্যাহার করা।