পতনের ধারা অব্যহত, শেষ বেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও ব্যর্থ
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পতনের কবলে দেশের পুঁজিবাজার। কোনো ভাবেই যেন থামছে না পুঁজিবাজারের দর পতন। সরকার সহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে। সেখানে টানা দরপতনের কারণ কী। এমন প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।
সাম্প্রতিককালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরিবর্তন, পুঁজিবাজারে সরকারি শেয়ার ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, রাষ্ট্রায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির নতুন বিনিয়োগের খবরে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে গত কয়েক কার্যদিবস ধরে ফের টানা দরপতন শুরু হয়েছে। যদিও এই দরপতনের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট কেউই।
মুলত যেখানে পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে অর্থবিভাগকে কাজ শুরু করছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট সমাধানে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এরকম ইতিবাচক খবরে যেখানে বাজার টানা উত্থানের কথা।
সেখানে টানা দরপতন রহস্য জনক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। বাজার দরপতনের পেছনে কোন অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে কিনা তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার খুঁজে বের করা দরকার বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি না করে ধরে রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিন টানা দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আজ দিনের শুরুতে ইতিবাচক থাকলেও ঘন্টাখানেক পর শুরু হয় পতন ঠান্ডব। তবে বাজার শেষ বেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ০৯ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে।এ নিয়ে পাঁচ কর্মদিবসে সূচক পড়ল ১৪৩ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৭৩ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২২ টির, দর কমেছে ২১৫ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭ টির।
ডিএসইতে ৬৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২৫১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৩ টির এবং ২৫ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।