২০ টাকায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার দরের নিলাম (বিডিং) শেষ হয়েছে। নিলাম শেষে শেয়ারটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৫০ টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই ৫০ টাকার ৩০% ডিসকাউন্ট অর্থাৎ ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকা, যেটি কম সে মূল্যে শেয়ার পাবেন। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানিটির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি) কোম্পানিটিকে গত ৩১ আগস্ট বিডিংয়ের অনুমতি প্রদান করে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে এসে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের (Cut-off Price) চেয়ে ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকা, যেটি কম, সেই দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম জানান, যেহেতু এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কাট-অফ প্রাইস ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিয়মানুযায়ী কাট-অফ প্রাইসের ৩০% ডিসকাউন্ট বা ২০ টাকা এর মধ্যে যেটি কম সে দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পাবেন। অর্থাৎ কাট-অফ প্রাইস ৫০ টাকার ৩০% ডিসকাউন্ট দিয়ে আসে ৩৫ টাকা। এক্ষেত্রে ৩৫ টাকা বা ২০ টাকা এর মধ্যে যেটি কম সে দরে শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ এশিয়াটিকের আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা ২০ টাকা দরে শেয়ার পাবেন।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।