আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্যাংকিংয়ে মূল্যবোধ বজায় রাখতে ব্যাংকারদের প্রতি স্পীকারের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে এবং সবার জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে দায়িত্বশীলতার সাথে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি।

আজ ৮ নভেম্বর ২০২২ ঢাকার একটি হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ (জিএবিভি) এর ১৩তম সম্মেলনের উদ্বোধনে তিনি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, এই মূল্যবোধভিত্তিক ধারণাটি উন্নয়ন ও সমবন্টন বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্যের মতো সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে, যাতে আরও শক্তিশালী একটি সমাজ তৈরি করা যায়।

তিনি জনমুখী, পৃথিবী বান্ধব, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেখানে উন্নয়ন ও সমবন্টনেরমধ্যে এই পারস্পরিক নির্ভরশীল সম্পর্ক বজায় থাকবে, যাতে সমাজের কেউ পিছিয়ে না পড়ে।

প্রবৃদ্ধি ও সম্পদেরসমবন্টন একটি জাতির টেকসই উন্নয়নের জন্য দু’টি সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল পুরো জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে জনসংখ্যার সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল অংশের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করা। সমান বন্টনের দিকে জোর দিয়ে দ্রুত সম্প্রসারণকে শক্তিশালী করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সানরাইজ ব্যাংকস-এর সিইও অ্যান্ড জিএবিভি-এর চেয়ার ডেভিড রাইলিং, ব্র্যাক ব্যাংক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন, জিএবিভি-এর এর নির্বাহী পরিচালক মার্টিন রোনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ফ্রম পারস্পেকটিভস টু অ্যাকশন: ট্রান্সফরমেশনাল প্র্যাকটিস ইন অ্যাকশন থিম নিয়ে ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষ করে সদস্য-ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশে এটি জিএবিভি’র দ্বিতীয় বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।

২০০৯ সালে দশটি ব্যাংক দ্বারা জিএবিভি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যাংকগুলো একটি ন্যায্য, সবুজ এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিশ্বাস করে। ব্র্যাক ব্যাংক হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বৈশ্বিক এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র ব্যাংক।

মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে মানুষ এবং বিশ্বকেত একত্রে রাখে। আকার, ব্যবসায়িক মডেল, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কিংবা বাজারের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বৈচিত্র্যের সাথে তারা একটি সাধারণ লক্ষ্য ভাগ করে নেয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে এবং একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে অর্থায়নকে ব্যবহার করা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.