ব্যবসায়ীরা বিশ্ব মন্দায় আক্রান্ত
মূল্যস্ফীতির সাথে রয়েছে ব্যাংক সুদের সম্পর্ক – বিবিএস ক্যাবলস চেয়ারম্যান

ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের সাথে, বাংলদেশের সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিগত ১৩ বছরে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে । দেশের ক্যাবল শিল্প ও বর্তমান সরকারের নীতি থেকে উপকৃত হয়েছে। এই মুহুর্তে দেশের ক্যাবল শিল্প মালিকরা দেশের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করতে চায়। বৈশ্বিক বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। প্রাথমিকভাবে চীনা এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলির সাথে বেশি প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। শেয়ার বাজার নিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহ আলম নূরের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে দেশের ক্যাবল শিল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএস ক্যাবলস লি:’র চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার।
তিনি বলেন প্রথমেই আমি সরকারকে অনুরোধ করব যে, অন্তত ১০ শতাংশ করের ছাড় দিয়ে ক্যাবল ক্যাবল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে রপ্তানি করার সুযোগ দেওয়া হয়। এজন্য সরকারের প্রনোদনার দরকার। সরকার যদি পাঁচ বছরের জন্য এটি অনুমোদন করে, আমি বিশ্বাস করি এই সময়ে আমরা একটি শক্তিশালী খাত গড়ে তুলতে পারব। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিবিএস ক্যাবলস তার পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে আমাদের ক্যাবল ব্যবহার করা হচ্ছে। যা পণ্যের গুনগতমানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতিরই অঙ্গীকারের প্রমাণ।
প্রশ্ন: বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ও ডলারের সংকট কতদিন চলবে বলে আপনি মনে করেন।
আবু নোমান হাওলাদার : বর্তমানে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। একই সাথে ডলারের সংকট চলছে। ইতোমধ্যে সরকারের নীতি নির্ধারকদের পক্ষ থেকে এর পূর্বাভাস ও দেওয়া হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শুধু দেশের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করিনা,ব্যবসার স্বার্থে সারা বিশ্বের সাথে সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। আমরা ইতোমধ্যে ডলারের সংকট নিয়ে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ডলারের সংকট একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। এটিকে সে ভাবেই দেখতে হবে। বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। আবার বিচ্ছিন্ন কোন ভূমিও নয়। আমরা প্রচুর পরিমানে যেমন রপ্তানি করি,তেমনি আবার বিপুল পরিমানে আমদানিও করতে হয়। বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ সহজেই সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। এতে এক জায়গার সমস্যা সহজে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি একজন ব্যবসায়ি হিসেবে মনে করি বিশ্বের যে কোন একটি দেশ সমস্যার মধ্য দিয়ে যখন যাওয়া শুরু করে তখন অন্য দেশেও এর প্রভাব পড়ে।
আমাদের দেশে ডলার সংকটের প্রধান কারন বর্তমান আমাদের রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হচ্ছে। এতে ডলারের উপর বেশ চাপ পড়েছে। আমাদের ডলারে যোগান আসে মুলত রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে। আমরা সবসময় দেখেছি রেমিট্যান্স উঠা নামা করে। এটিও আমরা দেখেছি ডলারের দাম যখন বেশি থাকে তখন প্রবাসিরা বেশি পাঠান। আবার ডলারের দাম যখন কম থাকে তখন আমাদের প্রবাসিরা পরিমানে কম পাঠিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে আমাদের রেমিট্যান্স আয় মোটামুটি ঠিক আছে। রেমিট্যান্স ঠিক থাকলেও রপ্তানি আয়ের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার প্রভাবের পর থেকে আমাদের রপ্তানি আয় বিভিন্ন সময় উঠা নামা করছে। আমাদের রপ্তানি যে সব দেশে বেশি হয় সেই সব দেশে ইতোমধ্যে যুদ্ধ ও মন্দার একটি প্রভাব পড়েছে। তবে একটি বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আদেশ নানা কারনে ওঠানামা করে থাকে। আমাদের অভ্যন্তরীন চাহিদা অনেক বেড়েছে। এজন্য বিপুল পরিমান ডলার আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়াতে সকলের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এটি বর্তমান সরকারের একটি বড় অর্জন। যে সব পণ্য আমাদের স্থানীয় ভাবে যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে তা আমরা পাচ্ছি। একই সাথে যে সব পণ্য চাহিদার যোগান দেয়ার জন্য আমদানি করতে হয় তার জন্য বিপুল পরিমান ব্যয় করতে হচ্ছে। সামগ্রীক ভাবে রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি করতে হচ্ছে। এ সংকট আরো কিছু দিন চলতে পারে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব উদ্যোগ নিচ্ছে তাতে এটি ইতিবাচক ফলাফল আমরা দেখতে পারবো আশা করছি।
প্রশ: ব্যাংক সুদ হার নিয়ে আইএমএফ’র শর্ত সম্পর্কে কি বলবেন?
আবু নোমান হাওলাদার: আমি একজন জন ব্যবসায়ী হিসেবে সবসময় ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে থাকি। আমাদের দেশের বর্তমানে ব্যাংক ঋন পেতে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ যে সুদ দিতে হয় তা অনেক বেশি। আমাদের দেশের তুলনায় অন্য যে কোন দেশে ব্যাংকের সুদের হার অনেক কম। প্রতিযোগিতার মার্কেটে তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অনেক বেশি। এসব দেশের ব্যবসায়িদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর সুদের হার অনেক বেশি থাকায় অর্থাৎ ডাবল ডিজিটে আমাদের সুদ পরিশোধ করতে হতো। সেখান থেকে সরকার এটিকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক সময় সুদের হার কমিয়ে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারন করেছে। বর্তমানে আমরা এর চেয়ে কম রেটে অনেক ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়ে আসছি। আমরা বর্তমানে ৭.৫ বা ৭.৮ শতাংশ রেটে ঋণ পেয়ে আসছি। এতে ব্যবসায়ীরা বেশ ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় অনেক কমে এসেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে নানা কারনে মূল্যস্ফীতি হয়ে থাকে। তখন সুদ হার নিয়ন্ত্রন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে এমন ঘটে থাকে। ব্যাংক সুদের ব্যাপারে সরকারকে আইএমএফ যে সব কথা বলছে তা বললেও সরকার সুদের হার বাড়াবে। আবার না বললেও বাড়াবে। কারন ইতোমধ্যে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। যে কোন দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বাড়ানো হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কারন মূল্যস্ফীতির সাথে ব্যাংকের সুদের হার ওতোপোতভাবে জড়িত। এমন পরিস্থিতিতে যে কোন দেশ ব্যাংকের সুদের হার বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন: দেশে অনেক ক্যাবল কোম্পানি থাকতে আপনার পণ্য মানুষ কেন কিনবে?
আবু নোমান হাওলাদার : দেশে অনেক ক্যাবল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে আমাদের ক্যাবল কেনার ক্ষেত্রে অনেক বিশেষত্ব রয়েছে। এসব বিশেষত্বের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমরা ক্যাবল তৈরি করতে কখনই স্ক্রাপ্ট মেশাই নাই। আমরা পিওর ক্যাথট থেকে আমাদের পণ্যগুলো তৈরী করি। আমাদের সেই ক্যাথট ৯৯.৯৯ শতাংশ পিওর। আপনি সহজেই বুঝতে পারছেন যে আমাদের ক্যাথট ডাবল ডিজিট পর্যন্ত পিওর। এর অর্থ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমাদের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রন করে থাকি। আমরা যে ক্যাবল তৈরীতে বিশে^র সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারি ব্যবহার করে থাকি। বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির যেসব মেশিনারিজ রয়েছে তা আমাদের কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর অর্থ আমাদের কাঁচামাল যেমন সেরা, তেমনি আমাদের মেশিনারিজও সেরা। দেশের সেরা যেসব প্রকৌশলী রয়েছে তাদের এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের এখানে যারা কাজ করে তারা এখান থেকে কাজ শিখেছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বাহির থেকে কোন মানব সম্পদ ভাড়া করে আনতে হয়নি। আমরা যে সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসব মেশিনারিজ সংগ্রহ করেছি তারা এসব জনশক্তিকে প্রশিক্ষন দিয়েছে। যে কোন পণ্য তৈরী করতে যত অপচয় হোক না কেন নিম্ন মানের কোন পণ্য আমরা কাস্টমারের হাতে তুলে দিচ্ছি না। আমাদের অপারেটরদের বলে দেয়া হয়েছে কোন কিছু যাতে তারা গোপন না করে। অপারেটরদের ভুলবশত কোন পণ্য চলে গেলেও আমাদের অটোমেশন যেসব মেশিন রয়েছে তা পণ্যের ত্রুটি ধরে দিচ্ছে। এতে কোন ভাবেই নিম্নমানের পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দেয়ার সুযোগ নেই। আমাদের রয়েছে ওয়ানলাইন কিউসি ব্যবস্থা। এতে কোন ভাবেই পণ্যের মান খারাপ করার সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি পণ্য আমাদের ল্যাব টেস্টে উর্ত্তীর্ন হতে হয়। এতো কিছু করার পর আমাদের ক্যাবল মার্কেটে যাচ্ছে।
বিবিএস ক্যাবলস তাদের সব সেক্টরে ভালো করছে। কিন্তু চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি, কাঁচামালের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, আমাদের বিক্রয় এবং টার্নওভার বৃদ্ধি পেয়েছে যা ব্যবসাকে চাঙ্গা করার জন্য একটি ভাল লক্ষণ।
এখন, আমরা আমাদের পণ্য সারাদেশে সরবরাহ করছি এবং আমরা শীঘ্রই বিদেশের গন্তব্যে রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। আমরা বিদেশে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছি। বিবিএস ক্যাবলস বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড (বিবিএসএল) এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রি-ইঞ্জিনিয়ারড স্টিল বিল্ডিং প্রস্তুতকারক। দ্রুত নগরায়নের সাথে, টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিশ্বমানের বৈদ্যুতিক তারগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: নতুন কোন উদ্যোগ থাকলে জানাবেন।
আবু নোমান হাওলাদার : আমাদের বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ রয়েছে।। তবে ২০১৯ সালের পর থেকে নতুন পণ্য আনার ক্ষেত্রে আমরা একটু স্লো গতিতে যাচ্ছি। এজন্য বেশ কিছু কারন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমাদের কোম্পানির ৫ জন পরিচালক ছিলাম। এর মধ্য থেকে একজন এক্সক্লুশন হয়েছে। উনি আমাদের বোর্ড থেকে অবসরে গেছেন। এতে আমরা আর নতুন কোন পণ্য বাজার আনার চেষ্টা করিনি। আবার প্রায় দুবছর আমরা করোনার সাথে যুদ্ধ করেছি। এসময়েও নতুন কোন পণ্য নিয়ে আসাও সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক সময় নতুন করে যোগ হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। নতুন পণ্য নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া এবং বিশ^ মন্দার কারনে আমরা একটু ধীর গতিতে যাচ্ছি। এসব সমস্যা শেষ হলে আমরা আবার নতুন বেশ কিছু পণ্য বাজারে নিয়ে আসবো। আমরা আশা করছি আমাদের ভোক্তা যারা রয়েছেন তারাও তখন নতুন নতুন পণ্য পাবেন।
প্রশ্ন: বিবিএস ক্যাবলস সম্প্রতি একটি চীনা কোম্পানির সাথে ক্যাবল সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে কাজের অগ্রগতির অবস্থা কী?
আবু নোমান হাওলাদার: আমরা চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সাথে পাওয়ার ক্যাবল, কন্ট্রোল ক্যাবল ইত্যাদি সরবরাহের জন্য ৪৭ কোটি টাকার উপরে একটি চুক্তি করেছি। ইতিমধ্যে, আমরা চুক্তি অনুযায়ী প্রায় সব ক্যাবল সরবরাহ করেছি এবং একই কোম্পানি থেকে আরও পণ্য সরবরাহ করার জন্য আমরা আরেকটি অর্ডার পেয়েছি।
প্রশ্ন: আগামী দশ বছর পর বিবিএস ক্যাবলসকে চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি কোন পর্যায়ে দেখতে চান?
আবু নোমান হাওলাদার: আমি বিবিএস ক্যাবলসের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য নিবেদিত। একদিন এই কোম্পানিটি দশ বছর পর বাংলাদেশের সবচেয়ে শীর্ষ কোম্পানি হবে। আমি কোম্পানিটিকে একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে চাই।
বিবিএস স্থানীয়ভাবে একটি স্বনামধন্য কোম্পানি, তবে বেশিরভাগ মানুষ এটিকে বিবিএস ক্যাবলস নামে একটি উচ্চতর কোম্পানি হিসেবে জানবে। আমাদের প্রচুর জনবল আছে। এই জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে আমাদের দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আমি জানি ব্যবসা পরিচালনায় আমাদের অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু এসব সমস্যা দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে পারে না।
প্রশ্ন: কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে শ্রম আইন বহাল আছে কি?
আবু নোমান হাওলাদার: আমরা খুব পেশাদার, তাই কর্মচারীদের চাহিদা সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমরা আমাদের কর্মীদের জন্য সুবিধা প্রদাানের জন্য শ্রম আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করছি। আমরা মনে করি আমাদের কর্মচারীরা আমাদের কোম্পানির একটি সম্পদ এবং এর জন্য আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মীদের প্রদানের জন্য নিবেদিত। আমাদের কিছু কর্মচারী আছে যারা শুরু থেকেই কাজ করছে এবং এখন তারা আমাদের কোম্পানির শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত।
প্রশ্ন: বিবিএস ক্যাবলস দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। আপনার কোম্পানির শেয়ার সম্পর্কে বলুন?
আবু নোমান হাওলাদার: বিবিএস ক্যাবলস পুঁজিবাজারের একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। আমরা প্রতি বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বিতরণ করে আসছি। বিবিএস ক্যাবলস একটি মৌলিক কোম্পানি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের শেয়ারের দাম তেমন ভালো নয়। এই শেয়ারের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবে শেয়ারহোল্ডাররা যদি আমাদের কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় বিনিয়োগ করেন তাহলে তারা লাভবান হবেন।
Since many UK authorities buildings have been offered to
property firms and rented back, this arrangement is now less common.
excellent points altogether, you simply gained a new reader.
What ight you recommend about your put up tthat you just made a few days in the past?
Anny positive?
My blog max slot