‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের সব লক্ষ্যমাত্রা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি ডে-২০২২ উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বৈশ্বিক খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো এসডিজি অর্জনের সব লক্ষ্যমাত্রা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বৈশ্বিক পর্যায়ে ২০৩০-এর এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নে অবকাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা করাটা প্রকৃতপক্ষে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আন্তঃসংযোগ চ্যালেঞ্জ যেমন- করোনাভাইরাস মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেন সংকট প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী সংঘাত, অসমতা, অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাসবাদ ও জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি সাম্প্রতিক দশকে বিভিন্ন দেশের অগ্রগতিকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকট নিরসনে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি সর্বজনীন, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়সঙ্গত বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি খাত থেকে টেকসই বিনিয়োগও অত্যন্ত জরুরি। তাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, করোনা মহামারির আগে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে ছিল। করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ ২০২০ সালের এসডিজির দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় পর্যালোচনা (ভিএনআর) জমা দিয়েছে। এখন যেহেতু আমরা মহামারির প্রভাব থেকে বের হয়ে টেকসই পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রয়েছি, এসডিজির বাস্তবায়নে আমাদের অগ্রগতি পুনরুদ্ধার করার জন্য সু-সমন্বিত রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন।