আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

জ্বালানি সাশ্রয়ে পরিবহনে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ব্যবহার করতে হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, এনার্জি ট্রানজিশনের মূল লক্ষ্য হলো কম খরচের জ্বালানি ব্যবহার করা। যেটা বহির্বিশ্ব এখন ফলো করছে। এনার্জি ট্রানজিশনে প্রথমে যা করতে হবে তা হলো গণপরিবহনে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ব্যবহার করতে হবে। এতে জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একটা গাড়ি যখন তেল ব্যবহার করে, তখন তার এফিসিয়েন্সি লেভেল হয় ২০ শতাংশ। অপরদিকে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে সেটা ৮০ শতাংশ। ১০ টাকায় তেলের গাড়ি যতোটুকু চলে, সেটুকু পথে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের খরচ হয় মাত্র ২ টাকা।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স (এফইআরবি) আয়োজিত ‘এনার্জি ট্রানজিশন-গ্লোবাল কনটেক্সট অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ভোক্তার কাছে কতোটা কম খরচে জ্বালানি সরবরাহ করা যায় সেটা হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ার একটা ভালো দিক লক্ষ্য করা গেছে, সেটা হলো গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি সংস্থা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অথচ আগে টেন্ডার দিয়েও কোম্পানি পাওয়া যেত না। আশা করি সামনে জ্বালানি চাহিদার একটা অংশ সাগর থেকে পূরণ হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৪০ শতাংশ গ্রিন এনার্জি বাস্তবায়ন করতে চায়। সৌর বিদ্যুতে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া  হলেও এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে গ্রিডে সরবরাহ করা। সঞ্চালন ব্যবস্থায় কিছু ইস্যু থাকায় আমরা দ্রুত স্মার্ট গ্রিডে শিফট হবো। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গ্রিডের ত্রুটিগুলো ঠিক হয়ে যাবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবীবুর রহমান। এছাড়া পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.