আজ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ২ কোটি শিশুকে
‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে দিনব্যাপী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটোরিয়ামে কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে। রোববার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠ পর্যায়ে ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন।’
‘বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিকস পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব পুরোহিতকে মন্দিরে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।