শেয়ার বিক্রির ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ
ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেড মেশিনে ডুপ্লিকেট ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট ডিফল্ট করে অবৈধভাবে গ্রাহকদের শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। সেসব টাকা আত্মসাৎও করা হয়েছে। এভাবে বিনিয়োগকারীদের ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ডুপ্লিকেট ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাহকদের শেয়ার অবৈধভাবে বিক্রি করে ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫০ টাকা এবং গ্রাহকদের কনসলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টে ঘাটতি রেখে ৪৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৪২৪ টাকাসহ মোট ৬৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার ও ট্রেকহোল্ডার। মো. শহিদুল্লাহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মাধ্যমে ডিএসই’র মার্চেন্ট ও ব্রোকার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। শেয়ার কেনা-বেচার হিসাব শহিদুল্লাহ একাই পরিচালনা করতেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও এর পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ডিএসই’র মনোনীত কর্মকর্তা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পল্টন মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগে উল্লিখিত অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পল্টন থানা পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে পল্টন থানার জিডিভুক্ত করে কমিশন বরাবর পাঠায়। অভিযোগটির অনুসন্ধান কাজের জন্য দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান ও উপপরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকারের সমন্বয়ে টিম গঠিত হয়। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডির বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের অনুমতি ব্যতীত শেয়ার-বিক্রয়ের অর্থ তসরুপ এবং কোম্পানির হিসাবে বিনিয়োগকারীদের পাওনায় ঘাটতি রেখে মোট ৬৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। শহিদুল্লাহর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের পথে। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি টাকাও পরিশোধ করা হবে। ২০২০ সালের জুন থেকে আমার ব্যবসায়িক কাজে মন্দা। এক হিসাবে বন্ধই রয়েছে। আমাদের প্রায় ২২ হাজার বিনিয়োগকারী ছিল।’