তারল্য সংকট দূর করতে বিএসইসির বিশেষ উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট দূর করতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন তহবিল (সিএমএসএফ) থেকে বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারের তারল্য সংকট দূর করতে স্বল্প সুদে সিএমএসএফ থেকে বড় ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ দেবে। এ বিষয়ে বিএসইসির সর্বশেষ কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এই সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের জন্য সুখবর বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আস্থার সংকট রয়েছে। আস্থার ও তারল্য সংকট কাটাতে সিএমএসএফ-এর অলস অর্থকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এখান থেকে বড় ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সিএমএসএফের তহবিলে বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের ৭০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। সেখান থেকে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে বাজারে কিছুটা বিনিয়োগ হয়েছে। বাকি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংকে এফডিআর করা আছে।
পুঁজিবাজারে তারল্য দূর করতে বাকি ৩০০ কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে, তারাই কেবল ঋণ পাবে। এই ঋণে ৬ মাস থেকে এক বছর গ্রেস পিরিয়ড (এই সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে হবে না) ধরা হতে পারে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকার মতো পাবে।
হাউজগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকে আরো ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে ঋণ পাওয়ার জন্য যেসব ব্রোকারেজ হাউজের মালিকপক্ষের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে, ওইসব কোম্পানি থেকে গ্যারান্টি দিতে হবে। এছাড়াও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের জন্য মূল প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যারান্টি দিতে হবে। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণ নেবে, তাদের ঋণের টাকা অবশ্যই ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ শক্তিশালী মৌলভিত্তির বাইরে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা যাবে না।