আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ মে ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ডেকে নিয়ে আমাদের ঋণ দিয়েছে। সংস্থার প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে বলেই ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি, এটাই সত্য। ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছি।

শনিবার (২০ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় ওলামা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে। আর আমরা আছি জানমাল রক্ষার আন্দোলন নিয়ে।আমাদের তার জন্য শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। আমরা এখন একটি সংকটের মধ্যে আছি। যেটা আমাদের সৃষ্টি নয়। করোনা মহামারি সামলানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে জ্বালানি ও ডলারের দাম বেড়ে যায়। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। অনেক পণ্যই বাইরে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। কিছু পণ্য আনা কমিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট বাড়বে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। কিন্তু জ্বালানি সংকটে পুরোপুরিভাবে সে চাহিদা মেটাতে পারছি না।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেত্রী আছে বলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। অথচ একটি দল তাকে নিয়ে অপপ্রচার করে। অথচ সারা দুনিয়া তাকে নিয়ে প্রশংসা করে। তিনি থাকলে দেশ পথ হারাবে না।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতো সভা-সমাবেশ, দফা, মানববন্ধন করলেন, তাতে কী হলো? আপনারা বলছেন সরকারের সময় শেষ। আমি জানতে চাই, সেই শেষ সময়টা কবে? গত ১০ বছর ধরেই এই কথা শুনে আসছি।

তিনি বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। ক্ষমতায় কে থাকবে, এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী ওলামা লীগের একটি ইচ্ছা ছিলে যে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। তার জন্য সময় লেগেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ তা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু এটি প্রথম সম্মেলন, তাই কতজনকে নিয়ে কমিটি হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি। যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন।

তিনি বলেন, কমিটিতে যেন বাস্তবতার ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে। নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলায় আসতে হবে।ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি তৈরি হয়। দলাদলি করে বদনাম কামাবেন না।

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের আহ্বায়ক ড. কে এম মোমেন সিরাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.