আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ জুন ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বিদেশি ঋণে সুদের উপর কর বাড়াবে ব্যবসায়ীদের খরচ: এমসিসিআই

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : এতদিন ধরে বিদেশি ঋণে সুদের উপর ব্যবসায়ীরা কর অব্যাহতি পেলেও এবার তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে উল্লেখ করে এমসিসিআই বলেছে, এতে ব্যবসায়ীদের খরচ আরও বাড়বে।

২০২৪-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শনিবার আলোচনা সভা করে মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই), সেখানে একথা বলেন সংগঠনের পরিচালক আদিব এইচ খান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭৬ সাল থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিদেশি ঋণের সৃদের উপর কর যোগ হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এটা পাস হলে বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময়ে সুদের বিপরীতে কর দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।

“এতে করে বিদেশি ঋণদাতারা সুদের উপর যে কর ধার্য হবে, তা দেবেন না। সুদ কর ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়িয়ে দেবে।”

এই সুদ হার কত হবে, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “২০-৩০ শতাংশ হতে পারে। সরকার এখনও তা পরিষ্কার করেনি। নন-রেসিডেন্সিয়ালদের সৃদ পরিশোধের ক্ষেত্রে যে হারে কর দেওয়ার বিধান, তা এখানেও প্রযোজ্য হতে পারে।”

ঢাকার মতিঝিলে এমসিসিআই নিজস্ব কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ফর্ম ভালনারিবিলিটি টু রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড র‌্যাপিড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছিলেন প্রধান অতিথি।

সরকার এমন সময়ে বিদেশি ঋণের সুদের উপর কর আরোপের প্রস্তাব করেছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদায় রয়েছে অর্থনীতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিদেশি ঋণ ছিল ৭ হাজার ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ কোটি ডলার। এরমধ্যে স্বল্পমেয়াদি ২১১ কোটি ২৯ লাখ ডলার, আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৯৮২ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।

ব্সেরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। যার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা মোট ঋণের ৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ৭৮৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা মোট বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৩২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট বিদেশি ঋণের দায় গত ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহীতা খাত হচ্ছে জ্বালানি খাত। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতের বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৫৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এরপরই উৎপাদন খাতে ২০৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, ট্রেডিংয়ে ১৩৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ব্যাংকিংয়ে ১৩০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে ঋণের উৎসে শীর্ষ দেশ চীন থেকে এসেছে ২৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

এছাড়া হংকং থেকে ১০৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৮৫ কোটি ২১ লাখ ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬৯ দশমিক ৯১ কোটি ডলার, নেদারল্যান্ডস থেকে ৬৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, সিঙ্গাপুর থেকে ৬৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, জার্মানি থেকে ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এসেছে।

আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেড়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছের বাংলাদেশে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যার মধ্যে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নিট বিনিয়োগ ছিল ৬৬ কোটি ১১ লাখ ডলার।

এর পরই রয়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে চীনের ৪৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার। ১১ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

এতদিন ধরে বিদেশি ঋণে সুদের উপর ব্যবসায়ীরা কর অব্যাহতি পেলেও এবার তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে উল্লেখ করে এমসিসিআই বলেছে, এতে ব্যবসায়ীদের খরচ আরও বাড়বে।

২০২৪-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শনিবার আলোচনা সভা করে মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই), সেখানে একথা বলেন সংগঠনের পরিচালক আদিব এইচ খান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭৬ সাল থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিদেশি ঋণের সৃদের উপর কর যোগ হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এটা পাস হলে বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময়ে সুদের বিপরীতে কর দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।

“এতে করে বিদেশি ঋণদাতারা সুদের উপর যে কর ধার্য হবে, তা দেবেন না। সুদ কর ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়িয়ে দেবে।”

এই সুদ হার কত হবে, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “২০-৩০ শতাংশ হতে পারে। সরকার এখনও তা পরিষ্কার করেনি। নন-রেসিডেন্সিয়ালদের সৃদ পরিশোধের ক্ষেত্রে যে হারে কর দেওয়ার বিধান, তা এখানেও প্রযোজ্য হতে পারে।”

ঢাকার মতিঝিলে এমসিসিআই নিজস্ব কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ফর্ম ভালনারিবিলিটি টু রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড র‌্যাপিড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছিলেন প্রধান অতিথি।

সরকার এমন সময়ে বিদেশি ঋণের সুদের উপর কর আরোপের প্রস্তাব করেছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদায় রয়েছে অর্থনীতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিদেশি ঋণ ছিল ৭ হাজার ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ কোটি ডলার। এরমধ্যে স্বল্পমেয়াদি ২১১ কোটি ২৯ লাখ ডলার, আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৯৮২ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।

ব্সেরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। যার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা মোট ঋণের ৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ৭৮৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা মোট বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৩২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট বিদেশি ঋণের দায় গত ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহীতা খাত হচ্ছে জ্বালানি খাত। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতের বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৫৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এরপরই উৎপাদন খাতে ২০৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, ট্রেডিংয়ে ১৩৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ব্যাংকিংয়ে ১৩০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে ঋণের উৎসে শীর্ষ দেশ চীন থেকে এসেছে ২৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

এছাড়া হংকং থেকে ১০৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৮৫ কোটি ২১ লাখ ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬৯ দশমিক ৯১ কোটি ডলার, নেদারল্যান্ডস থেকে ৬৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, সিঙ্গাপুর থেকে ৬৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, জার্মানি থেকে ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এসেছে।

আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেড়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছের বাংলাদেশে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যার মধ্যে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নিট বিনিয়োগ ছিল ৬৬ কোটি ১১ লাখ ডলার।

এর পরই রয়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে চীনের ৪৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার। ১১ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.