আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ জুন ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

বিষাদে বিদায় মেসির, খেসারত দিল পিএসজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) শেষটা ভাল হলো না লিওনেল মেসির। ম্যাচ শেষে মৌসুমের সব থেকে বেশি অ্যাসিস্ট করার পুরস্কার হয়তো তিনি পেলেন, কিন্তু শেষ ম্যাচে গোল বাড়াতে পারলেন না। নষ্ট করলেন সহজ সুযোগ। দেখে মনে হচ্ছিল, সত্যিই এই ক্লাবে আর মন নেই মেসির। শুধু মেসি কেন, পিএসজির সব ফুটবলারকেই যেন ক্লান্ত দেখাল।

অন্যদিকে ক্লেরমঁ দাপটে খেলল। ফ্রেঞ্চ লিগ জয়ী দলের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও আক্রমণ কমাল না তারা। তার ফলও পেল। শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে ২-৩ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হলো মেসিদের।

মঞ্চ ছিল মেসি ও সার্জিও রামোসের বিদায়ের। কিন্তু সেই মঞ্চ শুধু আর মেসি বা রামোসে থেমে থাকল না, সেখানে থাকলেন আরও একজন। সার্জিও রিকো। এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি তিনি। তবুও তিনি থাকলেন। কারণ, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রিকো। এই সময়ে তার পাশে সতীর্থরা। মেসি, এমবাপেরা সবাই রিকোর নাম লেখা জার্সি পরে খেললেন। গোটা মাঠ জুড়ে দেখা গেল রিকোর টিফো।

খেলা শুরু হওয়ার আগে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে উৎসবের পরিবেশ। সন্তানদের নিয়ে মাঠে নামলেন মেসি ও রামোমোসরা। খেলার শুরুটা বোধহয় হালকা চালেই শুরু করেছিল পিএসজি। প্রথমার্ধে পিএসজিকে এগিয়ে দেন রামোস। ক্লাবের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে গোল করলেন তিনি।

এর তিন মিনিট পরেই আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেন্টালি থেকে মৌসুমের ২৯তম গোল করেন এমবাপে।

আর ২১তম মিনিটের মাথায় প্যারিসের রক্ষণের ভুলে এক গোল শোধ করে ক্লেরমঁ। ভেরাত্তির দুর্বল ব্যাক পাস গোলরক্ষক ডোনারুমার কাছে যাওয়ার আগেই গোল করে দেন জোহান গাস্টিয়েন।

প্রথমার্ধে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ছিল পিএসজির রক্ষণের দুর্বলতা। ৩৬তম মিনিটের মাথায় একিটিকে হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ক্লেরমঁ। কিয়েই সেই বল বাইরে মারেন। ৪১তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক একটুর জন্য বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগেই ক্লেরমঁ-র হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মেহেদি জিফান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ক্লেরমঁ ভাল করলেও ৫৩তম মিনিটের মাথায় ম্যাচের সহজতম সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। প্রতি আক্রমণ থেকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফাঁকায় থাকা মেসিকে বল বাড়ান এমবাপে। মেসির বাঁ পায়ের শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। যে জায়গা থেকে তিনি চোখ বন্ধ করে গোল করতে পারেন, সেখান থেকেই গোল নষ্ট করলেন লিও।

ক্লেরমঁ হাই প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। প্রতিটা বলের জন্য তাড়া করছিলেন ফুটবলাররা। তার ফল পায় ক্লাব। ৬৩তম মিনিয়ে কিয়েই দলের তৃতীয় গোল করেন। এগিয়ে যায় ক্লেরমঁ।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তার বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন ক্লেরমঁ-র গোলরক্ষক। অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসি, এমবাপেরা। ফলে শেষ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।

কয়েক দিন আগেই পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটিই ক্লাবের জার্সিতে মেসির শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলে ফেললেন লিও। প্যারিসে শেষটা ভাল হলো না মেসির। বিদায়বেলায় জয়ের স্বাদ পেলেন না মেসি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.