আজ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

ব্যাংক নির্ভরশীলতা কমাতে সঞ্চয়পত্র বন্ড মার্কেটে ছাড়ার সুপারিশ বিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছু ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিচ্ছে টাকার সংকটের কারণে। আবার সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। প্রতি বছর বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমেও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক নির্ভরশীলতা কমাতে সঞ্চয়পত্র বন্ড মার্কেটে ছাড়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

‘সরকারি সিকিউরিটিজ প্রতিবেদন ২০২২-২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জানা গেছে, টাকার সংকটের কারণে গড়ে প্রতিদিনই কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করছে। গড়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে ধার করা হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ আদায় কমে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে ডলার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়া, এটা গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকিং খাতে চলে আসছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ঋণের জোগান এখনো ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীল। মোট ঋণের ৬২ শতাংশ নেওয়া হয় এ খাত থেকে। আইএমএফ ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারি ঋণ কমিয়ে বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও বেশি ঋণ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এ জন্য সরকার বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করছে। বর্তমানে বন্ড মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড বেচাকেনা হচ্ছে। এর বেশির ভাগই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানিগুলো বিক্রি করে। ব্যক্তি এবং অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এখনও এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারেনি। ব্যক্তি ও কর্পোরেটদের এ খাতে আনতে সব ধরনের আকর্ষণীয় বন্ড বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, এর অংশ হিসেবেই সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয়ী বন্ডগুলো মার্কেটে নিয়ে আসা হবে। এগুলো এখনো বন্ড মার্কেটে বেচাকেনা হচ্ছে না। এখনো এসব সঞ্চয়পত্রে স্থায়ীভাবে সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেওয়া হয়। এছাড়া রয়েছে সরকারি খাতের গ্যারান্টি। এসব কারণে সঞ্চয়ী উপকরণের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে।

এসব বন্ড বাজারে এলে বিনিয়োগ আগমন বেশি হবে। কারণ তখন সঞ্চয়পত্র বা সঞ্চয়ী বন্ডের ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে এগুলো বিক্রি করে টাকা নগদায়ন করতে পারবে। বর্তমানে এগুলো মেয়াদপূর্তির আগে বিক্রি করতে হলে ব্যাংক বা সঞ্চয় ব্যুরোতে যেতে হয়। বিক্রি করে অর্থ তুলে আনাও সময়সাপেক্ষ। আবার মুনাফা পাওয়া যায় কম। এসব ঝামেলা এড়াতে এগুলো বন্ড মার্কেটে সহজেই বিক্রি করা যাবে। তখন মুনাফাও বেশি পাওয়া যাবে। কারণ বন্ড মার্কেটের ঘোষিত মুনাফার চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলারের জোগান দিতে হয়েছে। এতে তারল্যের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। এসব তারল্য আবার ট্রেজারি বিল কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রেপো নিলামের প্রবণতা বেড়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম/ শি.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.