আজ: রবিবার, ১২ মে ২০২৪ইং, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ মার্চ ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৮ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচজন। শনিবার (৯ মার্চ) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পেসিসির সেলাতান রিজেন্সিতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

শনিবার রাতে পেসিসির সেলাতান দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডনি গুসরিজাল জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগের বিবৃতিতে তিনি মৃতের সংখ্যা ১০ জন জানিয়েছিলেন। ডনি বলেছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষগুলো চলমান উদ্ধার তৎপরতায় বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, বন্যার প্রভাব ছিল মারাত্মক। আমাদের যানবাহন যেতে পারছে না। আমরা এখন রাস্তা পরিষ্কার করছি।

স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শনিবার রাত পর্যন্ত পেসিসির সেলাতানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার আগের বিবৃতি অনুসারে, ভূমিধসে কমপক্ষে ১৪টি বাড়ি মাটিচাপা পড়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়েছে অন্তত আটটি সেতু।

স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, পাদাং প্যারিয়ামান রিজেন্সি এবং পশ্চিম সুমাত্রায় গত বৃহস্পতিবার-শুক্রবারের মধ্যে ভারী বর্ষণের ফলে নদীগুলোতে পানি উপচে পড়ে এবং বন্যা-ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। বন উজাড়ের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের ফলে দ্বীপপুঞ্জটিতে নিয়মিত বন্যাও দেখা দিচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে সুমাত্রার লেক টোবার কাছে বন্যা ও ভূমিধস কয়েক ডজন বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং একটি হোটেল ধ্বংস হয়। এতে অন্তত দুজন নিহত হন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.