সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

শেয়ারবাজার ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ফরম পূরণ করে হাফিজের কাছে জমা দিয়েছিলেন সাকিব। এমন একটি ছবি ও খবরে রাজনৈতি অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,এ নিয়ে কোনো কিছু জানেন না তিনি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সাকিব আল হাসান পরবর্তীতে ইউটার্ন নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার টিকিট নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
সাকিব আল হাসান বিএনএমের সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কীভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।
নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার (রাজনৈতিক দলের) রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (স্বীকৃতি) দেয় এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধুরাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ মানে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ তাদেরকে ক্ষমতা বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা একটি দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।