পুঁজিবাজার পড়ছেই, বাড়ছে হতাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ধারাবাহিক দরপতনে নুয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। দৈনন্দিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামই পড়তির দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে শেয়ারের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রেও পাগলা ঘোড়ার মতোই অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এতে দৈনন্দিন লেনদেন ও সূচক উভয়ই অস্বাভাবিক গতিতে কমছে। এই প্রবণতা ধারাবাহিক চলতে থাকার কারণে পুঁজিবাজার ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারী। প্রতিনিয়ত কমছে বাজার মূলধন। নিস্তেজ হয়ে পড়ছে ক্রেতাশূন্য পুঁজিবাজার। আস্থা হারাচ্ছে পুঁজিবাজার। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, দিশাহীন বিনিয়োগকারীকে ২০২৪ সালেও স্মরণে আনতে হচ্ছে সেই ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের কথা।
একদিকে ভালোমানের মৌল ভিত্তির শেয়ারের কদর কমেছে, অন্যদিকে জেড ক্যাটাগরির দুর্বল কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীর ঝোঁক বেড়েছে। ঠেকানো যাচ্ছে না পর্দার অন্তরালে কোটারিগোষ্ঠীর নানা কারসাজি। তারা লক্ষ্য অর্জনে নানাভাবে গুজবনির্ভর করে তুলছে বাজারকে। কৌশলী প্রচারণার টোপ ফেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শেয়ার হাতবদলের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে গুটিকয়েক ব্যক্তির আখের গোছানো শেষ হয়ে গেলে ভয়াবহ দরপতনের মুখে পড়ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে নগদ অর্থ বিনিয়োগ করে কেউ পথে বসছেন, কেউ মার্জিন ঋণ নিয়ে আম-ছালা উভয়ই হারাচ্ছেন। কেউ আবার দাম বাড়বে আশায় দীর্ঘকাল অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন,বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার একটা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছ। এ মুহূর্তে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সংকট হলো তারল্য ঘাটতি। তারল্য সরবরাহ বাড়লেই পুঁজিবাজার ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নিম্নগতিতে লেনদেন শেষ হয়েছে। একইসাথে আগের কার্যদিবসের তুলনায় এদিন কমেছে লেনদেন। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৩৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১ টির, দর কমেছে ৩১৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির।
ডিএসইতে ৪৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০৪ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২১৮ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৭ টির এবং ২৪ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তারা কি চায়?
দিন দিন মার্কেটে এত খারাপ হবে কেন?
মাটির কি দেখার মত কেউ নাই?
যদি না থাকে পদত্যাগ চাই।
Dam barlei oasabavik? Suchok koma arkoma ata sabavik?why msy you say
রাষ্ট্রের সব অঙ্গ থেকেই রক্ত ঝরছে!!😢
একটি সাথ্যবাজি ও সুবিধাবাজি কিছু মহল শেয়ারবাজারকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি বিএসইসি চেয়ারম্যান, ডিএসই চেয়ারম্যান,এবং সকল চোর বাটপার ও ষড়যন্ত্রকারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই, সকল সমস্যায় এবং পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
একটি সাথ্যবাজি ও সুবিধাবাজি কিছু মহল শেয়ারবাজারকে পুরোপুরি ধ্বংস করছে,তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Share.bazer.bondo.kore.dawa.huk