পতন থামার যেন লক্ষণই নেই, বিনিয়োগকারীরা প্রায় নিঃস্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দরপতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। অন্যদিকে দাম পড়তির মুখেও বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কেউ আরও দর হারানোর আশঙ্কায় দ্রুত প্যানিক সেল করছেন। কারও কারও শেয়ার আবার মার্জিন ঋণের বাধ্যবাধকতায় ফোর্সড সেলের মুখেও পড়ছে। এর পরও অনেক ক্ষেত্রেই কেনার মতো ক্রেতা মিলছে না। ক্রেতাশূন্য বাজারে এখন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও হু-হু করে কমছে। পতনের ধাক্কায় সিংহভাগ পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
ফলে বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ । নগদ অর্থ বিনিয়োগ করে কেউ পথে বসছেন, বিশেষ করে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা আম-ছালা উভয়ই হারাচ্ছেন। কেউ আবার দাম বাড়বে আশায় দীর্ঘকাল অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।বর্তমান পুঁজিবাজারের অবস্থা ২০১০ সালের ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
আসন্ন ইদুল ফিতর । ঈদের আগে কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপ থাকে। মুনাফা না করতে পারলেও অনেকেই মূল পুঁজি তুলে নেন ঈদের ব্যয় মেটানোর জন্য।তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। মুনাফা দূরের কথা, ঈদের আগে শেয়ার বিক্রি করে মূল পুঁজি উত্তোলন করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমন পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
আজ বুধবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক ৭১ পয়েন্ট কমেছে। তবে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও ৩২১ কোম্পানির দর পতনে হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮ টির, দর কমেছে ৩২১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭ টির।
ডিএসইতে ৫৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২২৬ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৭ টির এবং ১৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
পদ্যাগপত্র জমা দিন
পদত্যাগ জমা দিন
এখনো ‘প্রায়’ নিঃস্ব😢😢😢😢
আর কতটা হারালে পূর্ণ নিঃস্ব হবে??
শেখ হাসিনা মালাউন সরকারের কারণে শেয়ার বাজারের এই হাল
শেয়ার বাজার সম্বন্ধে প্রতিদিন লেখতে লেখতে আর ভালো লাগেনা,কি আর লিখবো চোররা আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে, একবার যদি চোরদের গেফতার করে কঠোর শাস্তি দেয়,তাহলে ভবিষ্যতে আর কোন দিন আমাদের সাথে এরকম কোন দুনীতি কাজ করবে না।
শেয়ার বাজারে চোর কাকে বলে সঙ্গা পাওয়া মশকিল