আজ: বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ইং, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

ক্যাপিটাল গেইনে করের খবরের নেতিবাচক প্রভাব, এক দিন পরই সূচকের ধপাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে গতকাল বড় উত্থান হয়। তবে এমন উত্থানের পেছনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পুনঃনিয়োগের সংবাদ ছিল মূল কারণ। তবে আজ পুঁজিবাজারে উল্টো চিত্র। গতকাল বড় উত্থানের পর আজ ফের পতনে পুঁজিবাজার। আজ লেনদেনের শুরুর দিকে বাজার ভালো থাকলেও শেষে পযন্ত পতনে লেনদেন শেষ হয়। তবে এমন পতনের পেছনে ক্যাপিটাল গেইনের উপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন করে কর আরোপ করছে এমন খবরের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেচাকেনার মাধ্যমে অর্জিত মূলধনি আয়ে কর বসাতে যাচ্ছে বলে একটি খবর ছড়িয়েছে। ফলে আজ বাজারে বড় পতন হয়েছে। তবে এমন খবর সত্য নয় বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে । এটি আগের মতোই অব্যাহতি থাকছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, যেকোনো তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ থেকে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইনের উপর আগে থেকেই কর মুক্ত আছে। নতুন করে কোন কর আরোপ করা হচ্ছে না। কর আরোপের তথ্য সঠিক নয়। ফলে তালিকাভুক্ত শেয়ার থেকে ব্যক্তিদের মূলধন লাভ কর মওকুফ বহাল থাকবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নীতি বাস্তবায়িত হলে, ব্যক্তি বিনিয়োগকারী তাদের আয়কর স্ল্যাবের উপর নির্ভর করে তাদের পুঁজিবাজার লাভের বিপরীতে কর বসতে পারে। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে অর্জিত মুনাফার উপর এই কর বসলে পুঁজিবাজার আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবিষয়ে বলেন, এনবিআর ২০১৪ সাল থেকেই ক্যাপিটাল গেইনের উপর কর নিয়ে আলোচনা করে আসছে তবে এখনো পর্যন্ত কর অব্যাহতি রাখা হয়। পুঁজিবাজারের স্বার্থেই এনবিআর এবারো কর অব্যাহতি দিবে। কমিশন ও এনবিআর এবিষয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। এটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটা সঠিক নয়।

বাজার বিশ্লেষণ :

আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬ টির, দর কমেছে ২৭৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির।

ডিএসইতে ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে।

সিএসইতে ২২১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২০টির এবং ২৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.