পতন কাটিয়ে লেনদেন ৮শ কোটির ওপরে, বেড়েছে সূচক
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিয়োগ পাওয়ার সংবাদে বড় উত্থান হয়। তার একদিন পরেই ক্যাপিটাল গেইনের করের খবরে সূচকের বড় দরপতন হয়। তবে ক্যাপিটাল গেইনের উপর আগে থেকেই কর মুক্ত আছে। নতুন করে কোন কর আরোপ করা হচ্ছে না। কর আরোপের তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিএসইসি। ফলে আতঙ্ক কাটিয়ে স্থিতিশীলতায় ফিরছে পুঁজিবাজার। আগের দিনের তুলনায় শেয়ার কেনায় আগ্রহী ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে পুঁজিবাজারে সূচক ও টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়েছে। মূল্যসূচকে ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলেই লেনদেনে গতি ফিরল। ডিএসইর লেনদেন ৮০০ কোটি টাকা অতিক্রম করল। অপরদিকে সিএসইতে ৯০ কোটি ছাড়িয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উভয় বাজারে বাহারি লেনদেন খুবই ইতিবাচক। এতে বুঝা যায়, বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি বাজারে সক্রিয় হয়, তাহলে বাজারের ছন্দ আপনা আপনি ফিরে আসবে।
ডিএসইর তথ্য থেকে বাজার পর্যালেচনায় দেখা যায়, আজ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৫.৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৩১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৯৫ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে আজ লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
আজ সিএসইতে ২২৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৭৮টির, কমেছিল ১২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি প্রতিষ্ঠানের।