ইতিবাচক ধারায় ফিরছে পুঁজিবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজার টানা দরপতন শেষে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরছে। গত মঙ্গলবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি সব মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে। এর আগে প্রায় দুই মাস ধরে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হয়। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন। তারপর বাজারে বড় উত্থান হয়। তার একদিন পরেই ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপের গুঞ্জনে বাজার আবার পতন হয়। তারপর (বিএসইসি) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। ফলে আজ বাজার ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যাপিপটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স না হওয়ার বিষয়ে এখনো সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত নন। যে কারণে বাজারে কাংখিত চাঙ্গাভাব ফিরতে দেরি হচ্ছে। তবে আজকের বাজারের ট্রেন্ড দেখে সহজেই অনুমেয় যে, বাজার নিয়ে ছোট ও বড় বিনিয়োগকারীদের যে শঙ্কা ছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। ব্যক্তিশ্রেণির সব বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে বাজার ফিরছে। যে কারণে আজ সূচক ও লেনদেনে ছিল ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। তাঁরা বলছেন, অলৌকিক আর কোনো গুজব না ছড়ালে সামনের সপ্তাহের বাজারে ভালো একটা অবস্থা দেখা যেতে পারে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের শেষদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ে। ফলে সবকটি সূচকের বড় উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
আজ ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪.৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ০৭ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৭১০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৩৫ কোটি ৭২লাখ টাকার। যা ছিল গত ৩৫ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ ডিএসইতে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৭টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ সিএসইতে ২২২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৭২টির, কমেছিল ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি প্রতিষ্ঠানের।
.
,
. Whate about the rebate of margine loam?
যে লাউ সেই কদু।
এমতোবস্থায় ফ্লোর প্রাইচ ভাঙ্গবে কি?