তরমুজের আদি-অন্ত!
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2015/05/তরমুজ-১.jpg)
জানেন কি, তরমুজ আসলে ফল নয় এটি একটি সবজি! শসা, মিষ্টিকুমড়া, লাউ ও তরমুজ একই পরিবারভুক্ত। তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। ফলে এটি আদর্শ ও স্বাস্থ্যকর খাবার বলে বিবেচ্য। সাধারণত তরমুজের ভেতরের রসালো মাংসল অংশটি লাল বা গোলাপি রঙের হয়। তবে এর রঙ কমলা, সাদা এমনকি হলুদও হয়। এই মাংসল অংশের রঙ বীজ ও হাইব্রিডের ওপর নির্ভর করে।তরমুজের বেশকিছু ধরন রয়েছে- জুবিলি, রয়েল জুবিলি, ক্রিমসন সুইট, বেবি ডল ও অন্যান্য।
ব্যবহার: রিফ্রেশিং সামার ফ্রুট হিসেবে তরমুজের জনপ্রিয়তা রয়েছে। রসালো বলে এটি একইসঙ্গে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা দু’টোই মেটাতে সক্ষম। পারফেক্ট ডায়েট ফুড হিসেবে ফ্রুটস সালাদে এর ব্যবহার রয়েছে। তরমুজের বিচি ভাজা এশিয়াতে স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়াও তরমুজের খোসা দিয়ে আচার ও ভাজি খাওয়া হয়।
পুষ্টি ও গুণগত মান:
১. তরমুজে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হার্টবিট নরমাল রাখে।
২. এতে রয়েছে সেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
৩. ভালো ঘুমের দাওয়াই।
৪. কিডনি পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।
৫. ভিটামিন এ, সি ও পটাশিয়ামের ভালো উৎস।
৬. অ্যাজমা, অথেরোস্ক্লেরোসিস, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিজের কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমায়।
জানেন কি?
১. এখন থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরে প্রথম তরমুজের চাষ হয়।
২. ভিয়েতনামের নববর্ষের দিন দেশটিতে তরমুজের বিচি খাওয়া হয়।
৩. বিশ্বে এক হাজার দুইশোর বেশি প্রজাতির তরমুজ রয়েছে।
সূত্র: ইন্টারনেট।