অন্যের প্রতি অভিযোগ; ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিজের মস্তিষ্কই
শেয়ারবাজার ডেস্ক: এক জীবনে কোন মানুষের পক্ষেই তার চাওয়ার সবকিছু পেয়ে ওঠা সম্ভবপর হয় না। আপনার চারপাশের সবকিছু সবসময় আপনার মনমতন হবে সেটা ভাবা তো ঠিক নয়। কিন্তু তারপরেও নিজের জীবনের এই না পাওয়াগুলোকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক নানারকম চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায় আমাদের। কখনো নির্দিষ্ট কারো ওপর, আবার কখনো অনির্দিষ্ট কারো ওপরে অভিযোগ আর অনুযোগ থাকতেই পারে তাই আমাদের। কিন্তু তাই বলে এমনতো নয় যে সেটা প্রতিটা দিন, প্রতিটা ক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেতেই থাকবে। তবু আপনি যদি সেই ব্যাক্তিদের ভেতরেই কোন একজন হয়ে থাকেন যার মনে তার জীবন সম্পর্কে আর জীবনে থাকা মানুষগুলো সম্পর্কে অভিযোগের শেষ নেই, তাহলে শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি যে আপনার মস্তিষ্ক প্রতিনিয়ত নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। তাও আবার আপনার দ্বারাই।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানান যে, আমরা মনের খারাপ লাগাকে কথার মাধ্যমে আর কারো প্রতি অভিযোগের মাধ্যমে মন থেকে বের করে দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা বলার সময় একইসাথে কথাগুলোকে কান দ্বারা শুনিও আমরা। ফলে আপনার বলা কথাগুলোই আপনার মস্তিষ্কে আবার প্রবেশ করে এবং মনকে নেতিবাচক চিন্তা করতে বাধ্য করে। চক্রাকারে চলতে থাকে এই প্রক্রিয়া।
আমাদের মস্তিষ্কে থাকা তথ্যগুলো আমাদের মনে জন্ম নেয় সিনাপ্সের দ্বারা। আর এটা তো জানা কথা যে একটি সিনাপ্স থেকে আরেকটি সিনাপ্সের ভেতরে বেশ খানিকটা ফাঁকা অংশ থাকে। তবে সেই অংমটুকুকে পার করে একটি সিনাপ্স অন্য সিনাপ্সের খুব কাছাকাছি চলে আসতে পারে যদি তার ভেতরে কোন ভাবনা উদিত হয়। কাছাকাছি আসবার সময় অন্য সিনাপ্সটিতেও নিজের চিন্তাকে ছড়িয়ে দেয় আগেরটি। ফলে আমাদের মনে বেশ জোরালোভাবে এবং বারবার নেতিবাচক অনুভূতি চলে আসে। এমনিতে হয়তো ব্যাপারটি খুব একটা চোখে পড়ার মতন কিছু নয়। কিন্তু বারবার এভাবে একই নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাওয়ার ফলে আমাদের চিন্তার প্রকৃতিটাও নেতিবাচক হয়ে যায়। আমরা হয়ে উঠি নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
ভাবছেন কী করে এই ঝামেলা দূর করবেন? কীভাবে সরাবেন এই নেতিবাচক চিন্তার চক্রকে নিজের মাথা থেকে?
খুব সোজা। সমাধান মুদ্রার অপর পিঠেই। ঠিক ধরেছেন। একদিকে যেমন নেতিবাচক চিন্তা মাথায় খেলা করে, তেমনি করে ইতিবাচক চিন্তাও। কোনটি আপনার মাথায় চক্রাকারে বিরাজ করবে সেটা কিন্তু ঠিক করে দেবেন আপনিই। নেতিবাচক চিন্তাকে পাশ কাটিয়ে তাই ইতিবাচক ব্যাপার নিয়ে ভাবুন। সেটাও আপনার মস্তিষ্কের সিনাপ্সকে প্রভাবিত করবে এবং লড়বে ইতিবাচকভাবে ভাবার ক্ষেত্রে। এছাড়াও সবসময় চাপমুক্র থাকার চেষ্টা করুন। কারণ যে ব্যক্তি আপনাকে যে পরামর্শই দিন না কেন, আপনার ভালো থাকার চাবিকাঠি কিন্তু আপনার হাতেই!
শেয়ারবাজারনিউজ/মা