আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ জানুয়ারী ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

বড় জাহাজ কিনতে এক হচ্ছে বিএসসি-সাইফ পাওয়ারটেক

saif-powerশেয়ারবাজার রিপোর্ট:  বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অপরিশোধিত তেল পরিবহনের জন্য দুটি বড় জাহাজ কিনতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। যদিও এখনো এ বিষয়ে কোনো চুক্তি সম্পাদন হয়নি কিন্তু এ বিষয়ে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করছে উভয় কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নিজস্ব বড় জাহাজ না থাকায় বিদেশি জাহাজ দিয়ে বর্তমানে ক্রুড অয়েল পরিবহন করছে। যৌথ কোম্পানি গঠনে বিএসসি সম্প্রতি সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক’র প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসসি’র নির্বাহী কমিটিতে আলোচনার পর মন্ত্রণালয়ে পাঠালে এ বিষয়ে সম্মতি দেয় মন্ত্রণালয়।

মধ্যপ্রাচ্য ও সৌদি আরবের দুই কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বছরে ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে থাকে। এতে ৫০ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। চীনের অর্থায়নে তিনটি বাল্ক ও তিনটি অয়েল ট্যাংকার কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ছয়টি জাহাজ কিনতে বিএসসিকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে চীন সরকার।

সূত্র জানায়, যৌথ কোম্পানি গঠন করে জাহাজ কিনে ক্রুড অয়েল পরিবহনের প্রস্তাব দেয় সাইফ পাওয়ারটেক। প্রস্তাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার হবে সমান(৫০ শতাংশ হারে)। এক লাখ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি জাহাজ কিনতে তারা স্থানীয় অথবা বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।

সাফই পাওয়ারটেকের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দুটি জাহাজ কেনা হলে বিএসসি নিজস্ব মাদার ভেসেলে ক্রুড অয়েল পরিবহন করতে পারবে। এতে একদিকে পাবলিক কোম্পানি হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের লাভ হবে অন্যদিকে কষ্টার্জিত অর্থ সাশ্রয় হবে। নতুন জাহাজ না কেনা পর্যন্ত যৌথ কোম্পানি তেল পরিবহন করবে বলেও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএসসির বহরে বর্তমানে ৭৬ হাজার টন তেল পরিবহনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি জাহাজ রয়েছে। ১৯৭২ সালে বিএসসি গঠন করে সব ধরনের তেল পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে।

এ বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, এ বিষয়ে বিএসসির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো চুক্তি সম্পাদন হয়নি। যদি যৌথ কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে তেল পরিবহন করতে পারলে অর্থ সাশ্রয় হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, জাহাজ কেনার জন্য কম সুদে ঋণ পেতে এরই মধ্যে কোরিয়া ও চীনের বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে কার্গো হ্যান্ডেলিং এর কাজ করছে। শিপিং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

 

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.