প্যাসিফিক ডেনিমসের প্রয়োজনীয় তথ্য
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বস্ত্রখাতের প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। কোম্পানিটি ১০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ২০০৭ সালে বানিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০১২ সালে ২৮০% স্টক ডিভিডেন্ট দিয়ে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটিতে উন্নীত করে। আইপিওর মাধ্যমে ৭ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে কোম্পানিটি আরো ৭৫ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ প্রি-আইপিও পেইড আপ ক্যাপিটালের সঙ্গে যোগ করে কোম্পানিটি মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৩ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ।
আইপিও তে এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার। এই শেয়ারের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার বরাদ্ধ পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বা ইলিজিবল ইনভেষ্টররা। বাকি ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার পেয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
লকিং শেয়ার:
কোম্পানির পরিচালকদের ৩ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার রয়েছে যা তিন বছর লকিং থাকবে। ইলিজিবল ইনভেষ্টরদের ৩ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ারের অর্ধেক অর্থাৎ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ারের লকিং শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তে। বাকি অর্ধেক অর্থাৎ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ারের লকিং শেষ হবে ১৩ মে ২০১৭ তে। সাধারন পাবলিকের ৩ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার লকিং মুক্ত রয়েছে প্রথম দিন থেকেই।
বাজার প্রতিযোগি
১.পার্টেক্স ডেনিমস——১৭%
২.শাশা ডেনিমস———-১৫%
৩.এনভয় টেক্স————১৩%
৪.চিটাগাং ডেনিমস——১০%
৫.পেসিফিক ডেনিমস—৩.৭৫%
কোম্পানিটির ইপিএস :
২০১২ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩.২০ টাকা।২০১৩ সালে ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছিল ২.৪৭ টাকায়। তারপরের বছর অর্থাৎ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে ইপিএস বেড়ে ২.৫০ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়া ডিসেম্বর ২০১৫ সালে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২.৬৩ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিকে (জুলাই’১৬-ডিসেম্বর’১৬) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৭ টাকা। তবে এই আইপিও শেয়ার যোগ করে কোম্পানিটির অর্ধবার্ষিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৫০ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা