শিশুদের অতিরিক্ত ওজন, ক্যান্সারের আগাম বার্তা!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শিশুদের একটু মোটাসোটা না হলে ভালো দেখায় না—এই ধারণাটা সব সময় ঠিক নয়। শিশুদেরও বেশি মুটিয়ে গেলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। গবেষণায় দেখা যায়, ওজনাধিক্য শিশুরা বয়স বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়ে। মোটা শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। মনোযোগে ঘাটতি হয়, স্কুলে দক্ষতা কমে যায়।
দু-একটা দুর্লভ রোগ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের অতিরিক্ত ওজনের জন্য অনিয়ন্ত্রিত মন্দ খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক শ্রমের অভাবই দায়ী। দিনের পর দিন উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার কারণে দেহে চর্বি কোষের পরিমাণ ও আয়তন বেড়ে যায়। অন্যদিকে, কোনো খেলাধুলা বা পরিশ্রম না করায় সেই চর্বি ভাঙারও সুযোগ পায় না। ফলে শিশু মোটা হতে থাকে। এ ছাড়া হরমোন, জিনগত, স্নায়ুরোগ, মানসিক রোগ বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও অস্বাভাবিক ওজন বাড়াতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় এবার জানা গেছে, মোটা শিশুদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। পৃথিবীর তৃতীয় সর্ববৃহৎ ক্যান্সার হলো পেটেণ্ট ট্র্যাক্টের নীচের দিকে অবস্থিত কোলন বা মলদ্বারের ক্যান্সার। স্থুলতার ফলে এই ক্যান্সারের প্রকোপ এখন অনেক বেশি।
যেহেতু, কোলন ক্যান্সার মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের শিকার করে বেশি। তাই এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে, ৭ বছরের কম বয়সী শিশুদের অজন ১৭ কেজির বেশি হলে তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। আবার শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের কোলন ক্যান্সারের ঝুকি বেশি।
মাপ মতো খাবার খাওয়া এবং শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমই হলো এই স্থূলতা কমানোর প্রাথমিক চিকিৎসা। সীমিত খাদ্যগ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রমে কাজ না হলে এর পাশাপাশি স্থূলতা হ্রাসের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলে ক্ষুধা বা খিদের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসে বা স্নেহ বা চর্বি জাতীয় পদার্থের বিপাকের হার বাধা পায়। তুলনামূলকভাবে যারা বেশি মোটা বা স্থূল, তাদের ক্ষেত্রে শল্য চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বা পাক-ব্যবস্থায় বেলুন ব্যবহার করে পাকস্থলীর আয়তন বা অন্ত্রের আয়তন কমিয়ে আনা যেতে পারে, এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বল্প খাবারেই তৃপ্ত হতে পারে ও খাদ্য থেকে খাদ্যগুণ গ্রহণের ক্ষমতাও কমে আসে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু