স্থিতিশীলতায় পুঁজিবাজার: বাড়ছে প্রত্যাশা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ দিনই বেড়েছে সূচক। আর উত্থানের মাত্রা ছিলো সামান্য। তাই গত সপ্তাহে (৩০ জুলাই-৩ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক বেড়েছে। তবে প্রথম ও শেষ কার্যদিবসে দিবসে কিছুটা কারেকশন হয়েছে সূচকে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমানও বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে লেনদেন বেড়েছে ৭০.৭২ শতাংশ। তবে প্রধান সূচক বেড়েছে ১.১২ শতাংশ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। “সামনে বাজার আরও ভালো হবে”, কারণ বাজার যে ভালো হবে তার সবগুলো লক্ষনই বিদ্যমান। আর আর্থিক বছর শেষ হওয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের একটা ইতিবাচক প্রভাব অচিরেই বাজারে পড়বে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১.১২ শতাংশ বা ৬৫.৩৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০.২৮ শতাংশ বা ৫.৯৮ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ০.৪৬ শতাংশ বা ৬.০২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।
আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯.১৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩.১৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫.১৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ২.৫৪ শতাংশ।
এদিকে, সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই)সার্বিক সূচক বেড়েছে ১.০৬ শতাংশ বা ১১৫.৭৬ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির, দর কমেছে ১১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। এগুলোর ওপর ভর করে সপ্তাহশেষে লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকার শেয়ার।
শেয়ারাবাজারনিউজ/মু