আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

ড. মাহফুজুর রহমানের গান শুনে প্রশংসায় যা বললেন তসলিমা নাসরিন

taslima-nasrinশেয়ারবাজার ডেস্ক: এনটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় বইছে। কিন্তু ব্যাতিক্রম তসলিমা নাসরিন। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ফেসবুকে বাংলাদেশের মানুষ কাল থেকে হাসছে। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। কারণ এটিএন চ্যানেলের কর্ণধার মাহফুজুর রহমান গান গাইতে না জেনেই গান গেয়েছেন চ্যানেলে। বাজে লিরিক, বাজে সুর, বাজে কণ্ঠ। টাকা আছে বলে টপ মডেলদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। গানের কথার সঙ্গে মিলিয়ে হাত পা নেড়েছেন, সোজা কথায় আনকুথ আর আউটডেটেড। সব মানছি। কিন্তু কিছু পজিটিভ জিনিস ভাবছি

১। কোটিপতিরা টাকা কামানোর ধান্দায় থাকে। মদ আর ‘মেয়েমানুষ’ নিয়ে প্রমোদ তরী ভাসায়। দূর্নীতি দুষ্কর্ম এত করে যে পাবলিকের সামনে পারতপক্ষে আসে না। তাদের গান গাওয়ার শখ টখ থাকে না। এই লোকটি শিল্প সাহিত্যে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। ইনি আর সব কোটিপতির চেয়ে ভিন্ন।

২। গানের কথাগুলো সবই কোনও নারীকে নিয়ে, যাঁকে তিনি খুব ভালোবাসেন। তাঁর সব গানই ভালোবাসা আর বিরহের গান। কোনও নারীকে খুব মিস করছেন, ফিরে আসতে বলছেন। যাঁকে ছাড়া তাঁর কিছু ভালো লাগছে না। সেই নারীর সঙ্গে ছিল তাঁর সুখের জীবন। সেই সুখের জীবন এখন আর নেই তাঁর।
ফিলদি ধনীরা সাধারণত এমন স্বীকারোক্তি করে না। তাদের এক গেলে আরেক আসে। কারো জন্য তারা কাঁদে না। এই লোকটি ভিন্ন। লোকটি প্রেমিক। হয়তো আউটডেটেড প্রেমিক কিন্তু প্রেমিক। উদার। সংবেদনশীল।

৩। ধনীদের অনেক রকম স্বপ্ন বা সংকল্প থাকে। কোনও প্রাসাদ বা কোনও জাহাজ বা কোনও ক্যাসিনো কিনে ফেলা। বা বিশাল কোনও জুয়োয় জিতে যাওয়া বা কাউকে ঠকানো, বা কোনও জাতশত্রুকে খুন করা। কিন্ত এই লোকটি ওসব কিছু চাইছেন না, তাঁর নিজের চ্যানেলে একটু গান গাইতে চেয়েছেন, এই যা।

৪। লোকটি ভাল গান গাইতে পারেন না বলে সুটিং বা এডিটিং-এর সময় তাঁর কর্মচারীরা নিশ্চয়ই তুমুল হেসেছে। তিনি তাদের হাসির শব্দ শুনতে পাননি। তাঁকে নিশ্চয়ই মিথ্যে প্রশংসা করে বোকা বানানো হয়েছে। এত প্রতাপশালী হয়েও মানুষ যে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করছে তা বুঝতে পারছেন না। বড় সরল সোজা তিনি, বড় সাদাসিধে।

৫। গান গাইতে জানেন না, তারপরও আবেগ তাঁর এত বেশি যে, গান গাওয়া শিখে তারপর গাইবেন, তর সইলো না। গেয়ে দিলেন। একটুও ভাব্লেন না লোকে যে মন্দ বলবে। এর মানে তাঁর ইমোশান মাত্রাছাড়া। এত ইমোশান ফিলদি ধনীদের সাধারণত থাকে না। তারা বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটা স্টেপ ফেলে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.