সেল প্রেসারের চাপ সামলালো ৪ খাত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বেশিরভাগ দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরু থেকেই চার খাতের ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। খাতগুলো হলো: ব্যাংক, সিরামিক, আর্থিক এবং বীমা। তবে অন্যান্য সব খাতে সেল প্রেসার থাকলেও উত্থানের মাত্রা ধরে রেখেছে বাজার। বুধবার সূচকে উত্থান ঘটলেও ৫২.৫৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দেশের শেয়ারবাজার অনেকটাই বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা থাকায় দেশের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাজারে দৈনিক লেনদেন, বাজার মূলধন ধারাবাহিক বৃদ্ধির ফলে সূচকেও পড়ছে ইতিবাচক প্রভাব। সরকার যখন বাজার উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে তখন প্রচন্ড সেল প্রেসারও বাজারকে দমাতে পারছেনা। দিরে পর দিন সূচক এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। আজ বাজারে সেল প্রেসার থাকা সত্ত্বেও সূচক বেড়েছে।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬১৮৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২২১২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৭৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ কোটি ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬১৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২০০ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২০৩ কোটি ৪৭ লাখ ১ টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২২০ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির কমেছে ১৩৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু