ভয়ংকর হ্যাকিংয়ে মালয়েশিয়ার সব নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের এক হ্যাকিংয়ের ঘটনায় চার কোটি ৬২ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। একসঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক ডাটা বিচ্যুতির ঘটনা এর আগে দেশটিতে কখনো ঘটেনি।
সিম কার্ডে থাকা বাসাবাড়ির ঠিকানা, আইডি কার্ডের নম্বরসহ সব ব্যক্তিগত তথ্যই চুরি হয়ে গেছে। ফলে তিন কোটি ২০ লাখ মানুষের এ দেশটির প্রায় সব মানুষই বিপদে পড়ত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব তথ্য ডিজিটাল কারেন্সিতে বিক্রির চেষ্টা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
মালয়েশিয়া সরকারের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ‘মালয়েশিয়ান কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশন-এমসিএমসি’ জানিয়েছে, তারা এই ডাটা বিক্রি চেষ্টার খবর তদন্ত করে দেখছে। ফাঁস হওয়া ডাটার মধ্যে মালয়েশিয়ার মেডিক্যাল সার্ভিস ও বাণিজ্যি বিষয়ক তথ্য-উপাত্তও রয়েছে।
মালয়েশিয়ার এই ডাটা হ্যাকিংয়ের বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে গত মাসের প্রথম দিকে দেশটির প্রযুক্তিবিষয়ক নিউজ সাইট লোওয়াত ডট নেট। ওই সময় এসংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ধারণা করছে, ২০১৪ সাল থেকে এই বিপুল ডাটা বিচ্যুতি শুরু হয়। সর্বশেষ গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমটি নিশ্চিত করে যে এখন পর্যন্ত চার কোটি ৬২ লাখ ডাটা অনলাইনে লিক হয়েছে।
মালয়েশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ। কিন্তু অনেকেই একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। চুরি যাওয়া নম্বরগুলোর মধ্যে অকার্যকর থাকা কিছু নম্বর এবং ভ্রমণকারী বিদেশিদের কাছে বিক্রির জন্য কিছু অস্থায়ী নম্বরও এর মধ্যে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মালয়েশীয়রা ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাকের’ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল। বিশেষ করে ফোন নম্বর ক্লোনের মতো চরম বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে।
লোওয়াত ডট নেট জানায়, এই হ্যাকিংয়ে মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল, মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়া ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের ৮১ হাজার ৩০৯টি রেকর্ডও ফাঁস হয়ে গেছে। লোওয়াতের প্রতিষ্ঠাতা ভিজান্দ্রেন রামাদাশ মালয়েশিয়ার দি স্টার পত্রিকাকে বলেন, হ্যাংকিয়ে চুরি যাওয়া সব তথ্যই তাঁরা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ান কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া কমিশন-এমসিএমসিকে জানিয়েছেন। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টেলকোসকে (এমসিএমসির প্রচলিত নাম) স্বীকার করে নিতে হবে যে এই বিচ্যুতি প্রকৃতপক্ষেই ঘটেছে। একই সঙ্গে সব গ্রাহককেও জানানো যে কী ঘটেছে। ’ তিনি জানান, এমসিএমসি গত ২০ অক্টোবার জানিয়েছে, তারা ডাটা বিচ্যুতির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু