সংসদে ব্যাংক আইন সংশোধনের প্রতিবেদন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারে চার সদস্য থাকার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাবটি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উঠেছে।
বুধবার সংসদে বিলটি পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন আইনসভায় উপস্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দু রাজ্জাক।
মঙ্গলবার বৈঠক করে বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়।
নতুন এই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও প্রতিক্রিয়া আসে। প্রভাবশালীদের সুযোগ দিতে আইনে এই সংশোধন আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এর মধ্যেই গত সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি সংসদে ওঠার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
বিদ্যমান আইনে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারেন।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোতে অনেকেরই পরিচালক থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল। তার আগে আইন সংশোধনের উদ্যোগ ব্যাংক পরিচালকদের কাছে সরকারের নতি স্বীকার হিসেবে দেখেছেন অনেকে।
সংশোধিত আইনে একটানা নয় বছর পরিচালক পদে থাকার বিধানও রাখা হয়েছে।
বিলটি পরীক্ষার জন্য পাওয়ার পর গত অক্টোবরে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাজ্জাক বলেছিলেন, কোন যুক্তিতে আইন সংশোধনের এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবেন তারা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হননি। তাতে অংশ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী এম এ মান্নান।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে আইনটি সংশোধনে আপত্তি জানাতে দেখা গেলেও শেষমেশ কোনো যোজন-বিয়োজন ছাড়াই বিলটি পাসের সুপারিশ করা হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ-সম্পর্কিত ধারাটি পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে।
এই ধারায় ব্যাংকের পর্ষদে একজন পরিচালক কত বছর পরিচালক থাকতে পারবেন, সে কথা বলা রয়েছে।
সর্বশেষ ধারাটি সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। এবার ষষ্ঠবারের মতো সংশোধন হতে যাচ্ছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ