ই-বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশে পরিবেশ দুষণের নানা কারণের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ইলেকট্রনিক্স পন্যের বর্জ্য বা ই-বর্জ্য। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং রি-সাইক্লিং না থাকায় ইলেকট্রনিক্স পন্যের এসব বর্জ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এখনই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে পরিবেশ বাদী সংগঠন এবং পরিবেশ বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে।
ইলেকট্রোনিক্স বর্জ্য বলতে শুধু যে কস্পিউটার বা মোবাইল ফোনকে বুঝায় তা নয়। টেলিভিশন, এলইডি লাইট, প্রিন্টার, মোবাইল, মোবাইল চার্জারসহ নানা পন্য রয়েছে। এসব পন্য থেকে নির্গত হচ্ছে মার্কারি, লেড, জিংক, ক্রোমিয়াম ও এসিডসহ মোট ৩৬ ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল। যার প্রভাবে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সারসহ, মানসিক বিকলাঙ্গতা হতে পারে।
এক সমীক্ষায় জানা গেছে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ২.৭৫ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। আনুপাতিক হারে এর ১৫ শতাংশ বর্জ্য তৈরি হয় বাংলাদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ই-বর্জ্য আসে জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে। ২০১৪ সালে জাহাজ ভাঙা শিল্প হতে ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে আট লাখ ৮৬ হাজার টন। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় সাত লাখ টন বর্জ্য বাংলাদেশে আসে বাহির থেকে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু