হার্ট সুস্থ রাখতে করনীয়
শেয়ারবাজার ডেস্ক: আজকালকার দিনে আর রোগের বয়স নেই। যে কোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে যে কোনো রোগ। বিশেষ করে হার্টের অসুখ। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই সব অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হার্টের অসুখের ঝুঁকি অন্তত আপনার জীবনে একটু কমাতে করনীয়।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। ধূমপান না করলে আপনার হার্টের অসুখের ঝুঁকিও অনেক কমে যাবে। একটু ব্যায়াম করুন। সময় সুযোগ মতো নিয়ম করে করুন ব্যায়াম। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমবে। আপনার শরীরে অন্য যে রোগগুলো আছে, সেগুলোকে আগে সারিয়ে নিন। না হলে ওগুলোর জন্য আপনার হার্টের অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। আপনার উচ্চতা এবং বয়সের সঙ্গে মানানসই এমন ওজন বজায় রাখুন।
এছাড়া নিচের নিয়ম গুলো অনুশরন করেও কমাতে পারেন আপনাদের হার্টের রোগ।
১. এড়িয়ে চলুন দূষিত বায়ু: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে দূষিত বায়ুর পরিমাণ বেড়েছে। আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য মতে, শীতকালে সকালের দিকে বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। সাধারণত বাতাসে থাকা অতিরিক্ত ধাতব পদার্থ নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে স্কন্ধদেশের ধমনিপ্রাচীরকে আরো পুরু করে তোলে, যে কারণে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়
২. বেশি খান শিম, বরবটি: আলু কিংবা কলাই-জাতীয় খাবারের চেয়েও গুটিযুক্ত ফলধারী লতা, যেমন- শিম, বরবটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এগুলো রাখতে পারেন ওষুধ বিবেচনায়ও
৩. করুন মুঠোর ব্যায়াম: টানা চার সপ্তাহের মুঠো সঞ্চালন-প্রসারণ ব্যায়ামও আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। হাইপারটেনশন জার্নাল জানিয়েছে, এর মাধ্যমে আপনি রক্তের ঊর্ধ্বচাপ কমিয়ে আনতে পারেন প্রায় ১০ শতাংশ হারে
৪. দৌড়ান নিয়মিত: এটা একটা সাধারণ তরিকা। তবে হার্ট ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন কিলোমিটার করে দৌড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে দৌড় শুরুর আগে এবং শেষে হার্ট রেটের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
৫. শ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করুন: না, নিজের ইচ্ছামতো গতিতে শ্বাস নিতে কিংবা ছাড়তে বলা হচ্ছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন শ্বাসের ব্যায়াম করুন। উদাহরণ হিসেবে প্রথমে ৩০ সেকেন্ডে ছয়টি পূর্ণাঙ্গ শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পন্ন করুন। এরপর সময়ের পরিমাণ কমাতে থাকুন। এ ব্যায়াম আপনার হৃদ সংকোচনসংক্রান্ত চাপ কমাতে ধন্বন্তরি ভূমিকা রাখবে।
৬. বালিশে মাথা রাখুন সময়মতো: যাদের অনিদ্রা নামক রাজরোগ আছে, তারা অন্যদের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি হার্ট এটাকের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমের জন্য প্রতিদিন বেশি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৭. যোগ করুন পটাশিয়ামযুক্ত খাদ্য: প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় ক্রমাগতভাবে যুক্ত করতে থাকুন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে কলা এবং মিষ্টি আলুকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
৮. নীরবতাকে প্রাধান্য দিন: হার্টের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ ডেসিবেলের শব্দেরও বেশ যোগ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে দূরে প্রতি ১০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার হার্ট এটাকের পরিমাণও বাড়তে থাকে ১২ শতাংশ হারে।
৯. ছুড়ে ফেলুন এনার্জি ড্রিংকস: শক্তিবর্ধক এসব পানীয়কে ‘শত্রু’ হিসেবে গণ্য করুন। কেননা এসব পানীয় কোনোভাবেই আপনার কোনো ধরনের উপকারে আসবে না, উল্টো রক্তচাপ বাড়িয়ে মুহূর্তেই আপনাকে ধসিয়ে দেবে।
এবং ১০. বাড়ান সামাজিক যোগাযোগ: একা বাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকে। তাই অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন, হাত মেলান, জড়িয়ে ধরুন এবং আরো বেশি সামাজিক হতে চেষ্টা করুন; নিজের স্বার্থেই।
শেয়ারবাজারনিউজ/সো