আজ: বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ইং, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিশ্বের ভয়ানক ৫টি সাপ

snakeশেয়ারবাজার ডেস্ক: সাপ, অত্যন্ত ভয়াবহ এক প্রাণী। এদের তীক্ষ্ণ সংবেদনশীলতা, উগ্রতা, দ্রুততা আর বিষাক্ততার জন্যে নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক প্রাণীগুলোর তালিকায় একে রাখতেই হবে। তবে সব সাপ আবার সমান বিপদজনক নয়। বিষের কার্যক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এদের ভয়াবহতায় আছে কম-বেশি।

তবে যেসকল সাপের ছবি দেখলেই শরীরে শিহরণ জাগে, আজ তাদের নিয়েই আলোচনা:-

১. ভাইপার
বিষধর সাপের তালিকায় ভাইপার অতি পরিচিত একটি নাম। সমগ্র বিশ্বজুড়েই এদের পাওয়া যায়, তবে বিশেষ করে ভারত, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের দেখা মেলে বেশি। ভাইপাররা রগচটা স্বভাবের। এরা নিশাচর এবং সাধারণত বৃষ্টির পর ভেজা পরিবেশে বেশি সক্রিয়। ভাইপারের বিষ হেমোটক্সিক। হেমোটক্সিক বিষ নিউরোটক্সিক বিষের তুলনায় বেশি সময় নেয় শিকারকে কাবু করতে।

২. বেচলার’স সি স্নেক
বেচলার’স সি স্নেক একটি সামুদ্রিক সাপ। অন্যান্য সামুদ্রিক সাপের মতোই এদের সাঁতার কাটার জন্যে পেডেলের মতো লেজ আছে। এরা ফুসফুস দিয়ে শ্বাস নেয়। শিকার অথবা ঘুমের প্রয়োজনে এরা ৭/৮ ঘন্টা অবধি শ্বাস চেপে পানির নিচে কাটাতে পারে। কিন্তু শ্বাস নেবার জন্যে এদের পানির উপরে ভেসে উঠতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ বলা যায় একে এদের। এর মাত্র দুই মিলিগ্রাম বিষ ১০০০ মানুষ মারার মতো ক্ষমতা রাখে। তবে এদের কামড়ের চারভাগের একভাগেই মানুষ মারার মতো যথেষ্ট পরিমাণ বিষ থাকে।

৩. ব্ল্যাক মাম্বা
আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে খুঁজে পাওয়া ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী স্থল সাপ। এরা ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে চলতে পারে। এরা অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক এবং খুব দ্রুততার সাথে আক্রমণ করতে পারে। লক্ষ্যবস্তুকে একটানা ১২ বার পর্যন্তও এরা আঘাত করতে পারে। এদের সাধারণ একটা কামড় এরা ১০-২৫ জন মানুষ হত্যা করতে পারে। একেকটি কামড়ে এরা ১০০-১২০ মিলিগ্রাম বিষ শিকারের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়।

৪. হাইড্রোফিলিস বেলচেরি
অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারনা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুন বেশি বিষাক্ত।
সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মত সাতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে।

৫. কিং কোবরা
ভারতীয় কিং কোবরার নামের সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান, চীন, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, এক কথায় সমগ্র এশিয়া জুড়েই এদের বিস্তৃতি। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা দেহের অধিকারী বিষধর সাপ। এরা ১৮.৮ ফুট অবধি লম্বা হতে পারে। ওজনে এরা ১২ কেজির উপরেও হতে পারে।

অন্যান্য কোবরার থেকে কিং কোবরা কিঞ্চিৎ আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এরা খন্ডিত জিভের সাহায্যে কেমিক্যাল ইনফরমেশন গ্রহণ করে ও শিকারের জন্য সিগন্যাল এদের স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরিত হয়। ১০০ মিটার দূর থেকেও এরা শিকারের নড়াচড়া টের পায়। যেকোনো নড়াচড়ার প্রতি এরা অতি দ্রুত সংবেদনশীল। উত্যক্ত করা হলে কিং কোবরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। তখন এরা শরীরের এক তৃতীয়াংশ মাটি থেকে উপরে তুলে ফেলে এবং ফনা তুলে হিসহিস শব্দ করতে থাকে। এই অবস্থাতেই এরা শিকারের দিকে ধেয়ে যেতে পারে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.