আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জুলাই ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

উচ্চ রক্তচাপ কমাবে টমেটো!

tomatoশেয়ারবাজার ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে তত আমরা স্ট্রেস, টেনশন এবং অ্যাংজাইটির চক্রে এমনভাবে আটকে যাচ্ছি যে, জীবনের আয়ুও যাচ্ছে কমে। আসলে এই তিনটি ফ্যাক্টরের সঙ্গেই একাধিক মরণ রোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ফলে একবার যদি স্ট্রেসকে সঙ্গী বানান, তাহলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং আই সি এম আর-এর প্রকাশ করা রিপোর্ট ঘাঁটলেই জানতে পারবেন গত এক দশকে কী হারে দেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন হাইপারটেনশনের শিকার। এই সংখ্যাটা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১২ সালে ওয়ার্ল্ড হেল্থ স্ট্যাটিসটিকস অনুসারে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩.১০ শতাংশ পুরুষ এবং ২২.৬০ শতাংশ মহিলা এই রোগের শিকার এবং এদের বেশিরভাগের বয়স ৩০ এর নিচে। চিকিৎসক মহলের মতে এইভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে সারা ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া রিজিয়নে হাইপারটেনশন প্রায় মহামারীর আকার নেবে। আর এই রোগে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শহরের মানুষেরা। এমন পরিস্থিতি আসার আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে টমেটো দারুন উপকারে লাগে। এই সবজিটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে হাইপারটেশন নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। তাই সুস্থ জীবন পেতে আজ থেকেই কাঁচা অথবা রান্না করা অবস্থায় টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

কীভাবে টমেটো উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে?

এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লাইকোপেন এবং বিটা ক্যারোটিন নামে বিশেষ কিছু উপাদান, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের যেমন বের করে দেয়, তেমনি স্ট্রেস লেভেলও দ্রুত কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামও রক্তচাপকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

টমেটো যে কেবল উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাতেই কাজে লাগে। এমন কিন্তু নয়! নিয়মিত যদি এই সবজিটি খেতে পারেন তাহলে আরও একাধিক রোগ দূরে থাকে। যেমনঃ

১। ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখেঃ
টমেটোতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরে ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে প্রতিদিন যদি ১-২ টা করে টমেটো খাওয়া যায় তাহলে এই মরণ রোগ নিয়ে আর চিন্তার থাকতে হবে না, এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের। প্রস্টেট এবং কলোরেকটাল ক্যান্সারকে দূর রাখতে টমেটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

২। হার্ট ভাল রাখেঃ
ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং কোলিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সবকটি উপাদানই প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমেটোতে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে চান, তো রোজের ডায়েটে এই সবজি রাখুন।

৩। ডায়াবেটিসঃ
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টমেটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করেঃ
টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপেন, লুটেন এবং বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ছানির মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.