তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৩৭ রান
শেয়ারবাজার ডেস্ক: খুলনা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও, রানের পাহাড়ই গড়েছেন পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৭৭ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বড় স্কোরে আরোহণ করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ আর আজহার আলি। দিন শেষ মাত্র এক উইকেট হারিয়ে মিসবাহ-উল হকদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫৮ ওভার শেষে ২২৭ রান। বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে ছিল ১০৫ রানে। তবে দিন শেষ হওয়ার আগেই হাফিজ সেঞ্চুরি তুলে ফেলেছিলেন, আজহার আলিও হাঁটছিলেন সেদিকে। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতেই উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের ২২৭ রানের জুটি ওপর আঘাত হানেন শুভাগত হোম। ১৭৭ বল খেলে ৮৩ রানে থাকা আজহার আলিকে সরাসরি বোল্ড করলেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।
মোহাম্মদ হাফিজের ডাবল সেঞ্চুরির পর পাকিস্তানের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরাও রান উৎসবে যোগ দিলেন। বাংলাদেশি বোলারদের জীবন বিষমিত তুললেন হাফিজ-মিসবাহ-আজহার আলীরা। হাফিজের ডাবল সেঞ্চুরির পর আর কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও চার চারজন হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। একে একে হাফ সেঞ্চুরি করেন আজহার আলী, মিসবাহ-উল হক, আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ।
বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। যিনি ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি। সেটার ক্ষোভ টেস্টে এসে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ভালোভাবেই ঝাড়লেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। বাংলাদেশকে ৩৩২ রানে বেধে ফেলার পর ব্যাট করতে নেমে একাই পাকিস্তানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল হাফিজ। ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলকই স্পর্শ করে ফেললেন পাকিস্তানের এই ওপেলার। তবে বেশিক্ষণ আর ক্রিজে থাকতে পারলেন না এ প্রফেসার। অবশেষে দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন শুভাগত হোম। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান করা হাফিজ।
১১২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করতে আসেন শুভাগত হোম। তার অফ স্পিন বলটি ইনসুইং করে পা এবং লেগ স্ট্যাম্পের মাঝ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। হাফিজ চেষ্টা করেছিলেন সুইপ খেলতে। কিন্তু ইনসুইঙ্গার বলটি গ্লাভসে লেগে লেগ স্লিপে ক্যাচ উঠে যায়। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২৩ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় ৩৩২ বলে ২২৪ রান করে সাজ ঘরে ফিওের যান প্রফেসার হাফিজ।
প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তান ১৪৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান করেন। বাংলাদেশের চেয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে রয়েছে পাকবাহীনি। পাকিস্তানের হয়ে আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ সমান ৫১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। আজহার আলী ৮৩ ও মিসবাহ-উল-হক ফিরেছেন ৫৯ রান করে। সেই তুলনায় ইউনিস খান (৩৩) ও সামি আসলাম (২০) বেশ পিছিয়ে রয়েছেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/রা