৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ অনুযায়ী ব্যাংকের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী এই সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যাংকের কার্যক্রমের উপর আলোচনা করেন। সভায় পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুপারিশকৃত ১০ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালকবৃন্দ তাবাসসুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, রেবেকা ব্রুসন্যান, স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়াল ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এজিএম এ অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ব্যাংকের সম্ভাবনাময় সুযোগসমূহ ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে সিটি ব্যাংকের নীট মুনাফা হয়েছে ৪৭৮.১৩ কোটি টাকা। গত ৩ বছরে ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স শীট ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২২ সালে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে ছিল অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সিটি ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল, এর স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতা আগামীতেও একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায়েরই ইঙ্গিত প্রদান করে।
চেয়ারম্যান আরো জানান, কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও বিচক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সিটি ব্যাংকের ২০২২ সালে ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩.৬%, যা একটি স্থিতিশীল এবং আরো ভিজিলেন্ট রিস্ক রিটার্ন স্ট্রাকচার (vigilant risk-return structure) গড়ে তোলার লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ২০১৯ সালের প্রাক-কোভিড সময়ে আমাদের ২৫০ কোটি টাকা থেকে ২০২২ সালে বেড়ে ৪৫০ কোটি টাকাতে এসে দাঁড়িয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন ব্যাংকের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরেন এবং ব্যাংকটির ঋণ ও ব্যালান্স শিটের বিশাল প্রবৃদ্ধির সাপেক্ষে মূলধন পর্যাপ্ততার বিষয়টিতে জোর আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।