আজ: বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ইং, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার |

kidarkar

সবজির দাম বৃষ্টির বেড়েছে, মাংসের প্রভাব মাছের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা দেখা গেলেও বাজারে শীতকালীন সবজিতে বিরাজ করছে উষ্ণতা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর টানা বৃষ্টির কারণে আড়তে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে এসময়ে মাংসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পলাশী ও আনন্দবাজার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে প্রকৃতি। বাজারেও আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। বাজারে এসেছে নতুন আলু। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো আলু ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। কয়েকদিন আগেও যে লাউ বিক্রি হতো ৪০ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। ৩০ টাকা দামের ফুলকপি বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা।

বাজারে দুই জাতের বেগুনেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। শিমের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ২০ টাকা কেজির মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও। ৮০ টাকা কেজির কাঁচা করিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ধনিয়া পাতার। ৬০ টাকা কেজির ধনিয়া পাতা তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা।

গত সপ্তাহের মতোই একই দামে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। রসুন, আদারও দাম বেড়েছে। এ দুটি পণ্য ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। ১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল ২-৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৪-৫৫ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এখনো।

আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। খোলা ময়দার দাম কিছুটা কমেছে। ৬০ টাকা কেজির খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দার দাম কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দীর্ঘসময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। মাংসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছের দামেও। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও কিছুটা কমেছে চাষের মাছের দাম। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, ছোট আকারের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি চিংড়ি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। শোল মাছের দাম কিছুটা বেড়ে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা হয়েছে। ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে ভিড় দেখা গেছে বিভিন্ন মাংস বিক্রেতার দোকানগুলোতে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে গরুর মাংস এখন ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিপ্রতি অন্তত দেড়শো টাকা কম।

গরুর মাংসের পাশাপাশি গত সপ্তাহে মুরগির দাম কমলেও এ সপ্তাহে তা কিছুটা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যখন ডিমের হালি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এরপর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। দাম কমে ডিমের হালি এখন ৪০-৪২ টাকায় নেমেছে।

বড় বাজারগুলোতে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকা পিস। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে এ দাম এখনো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১১০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিমের হালি এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

১ টি মতামত “সবজির দাম বৃষ্টির বেড়েছে, মাংসের প্রভাব মাছের বাজারে”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.