আজ: শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ইং, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জানুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার |

kidarkar

ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া, ডাল-ছোলার বাজার উঠতি

নিজের প্রতিবেদক: ভরা মৌসুমেও গত তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে আগেভাগেই বাড়তে শুরু করেছে ছোলাসহ বিভিন্ন পদের ডালের দাম।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির ভরা মৌসুম এখন। বাজারে মিলছে হরেক রকমের সবজি। পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে ভ্যানেও পাওয়া যাচ্ছে তরতাজা নানান ধরনের সবজি। তবে দাম কমছে না। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। থরে থরে টমেটো সাজানো থাকলেও কেজিতে গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দর ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অন্যবছর এ সময়ে যা ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যায়। মটরশুঁটির কেজি ১৫০-১৮০ টাকা।

এছাড়া লাউয়ের পিস আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

অন্যদিকে নতুন আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম না কমার বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নির্বাচন উপলক্ষে গ্রামে চলে গেছেন অনেকেই। ফলে স্থানীয় বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ঢাকায় সরবরাহ কমিয়েছে।

পাশাপাশি নভেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের শুরুতে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ক্ষেত্রে।

কথা হয় সালমান হোসেন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দোকানে আসলেই এই কারণ, সেই কারণ বলে বেশি দাম নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো অপমান হতে হচ্ছে। দরদাম করলে অন্য দোকান দেখতে বলছে। বিক্রেতারা মুখে কুলুপ আটকে বসে থাকেন।’

রমজান আসতে এখনো দেরি দুই মাসের বেশি। তবে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ছোলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালজাতীয় খাদ্য পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ছোলার ডাল, মুগডাল, অ্যাংকরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগডালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

ডাল ব্যবসায়ীদের দাবি, ছোলাসহ আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ ডলারের দর বৃদ্ধি।

তবে ক্রেতারা বলছেন, রমজানে দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীরা নানান প্রশ্নের মুখে পড়বেন। সেজন্য দু-এক মাস আগেই বাড়ানো শুরু করছেন।

বাজারে গত সপ্তাহ থেকে ব্রয়লার মুরগির দরও কিছুটা বাড়তি। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। আর ডিমের দর গত সপ্তারে তুলনায় ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.