আজ: সোমবার, ২০ মে ২০২৪ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

বিসিসিসিআই-ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর ‘সেরা রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এবং চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ইয়ান হুয়া লং। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ প্রেসিডেন্ট রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্বিতীয়বারের মতো বিসিসিসিআই ও ইআরএফ যৌথভাবে এ ধরনের অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ইআরএফের ৬৮ জন সদস্য প্রতিবেদন জমা দেন। এর মধ্য থেকে বাংলাদেশ চীনের সম্পর্কের বিভিন্ন খাতভিত্তিক ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৭টি রিপোর্টকে সেরা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজয়ী রিপোর্টারদের ক্রেস্ট, সনদ ও ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বিসিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটার, ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধাসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভালো রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে মানুষের সামনে সত্য তুলে ধরা হয়। সাংবিদকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। সকল কাজে মিডিয়ার সহযোগীতা সবসময় চাই। এতে আমাদের কাজ অনেক সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, চায়না আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগী। দেশটির সাথে আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক গ্যাপ। সামনে চায়নার অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। এটিকে আমাদের সুযোগ হিসেবে নিতে হবে।

এছাড়া আসন্ন রমজান মাস ঘিরে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদেরকে ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। তবে প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল মজুত রয়েছে ১৮ লক্ষ্য মেট্রিক টন। সুতরাং রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবেও বলে জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগবান্ধব যায়গা। চায়নার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে মানুষ সঠিক তথ্য জানতে পারে। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো মোকাবেলা করতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য চায়নার বিনিয়োগ আমাদের দরকার।

ইআরএফ প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে বিজনেস সাংবাদিকদের একটু বেশি অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতেও দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে সাংবাদিকেরা। বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের মতো প্রোগ্রাম ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, চয়নার বিনিয়োগকারীরা প্রজেক্ট ফাইন্যান্স করতে চায়। এটিও একটি ভালো দিক। তবে দেশের অবকাঠামো খাতে চায়নার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.