ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধিতে রেকর্ড পরিমান পতন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ ইন্দোনেশিয়ার রেকর্ড পরিমান কমেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছায়। এর ফলে দ্রুত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সক্ষমতার প্রতি দেশবাসীর আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে। খবর: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটির জিডিপি গত বছরের তুলনায় বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৭১ শতাংশ, যা গত প্রান্তিকের ৫.০১ শতাংশের তুলনায় কম। ২০০৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর এটিই ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে কম। দেশটির সরকারি স্ট্যাটিসটিকাল এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে দেশটির রপ্তানী বার্ষিক ভিত্তিতে কমেছে ০.৫৩ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে রফতানি ৪.৫৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। অপরদিকে একই সময়ে আমদানির পরিমাণ কমেছে ২.২০ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে আমদানিতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.২২ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে স্থানীয় চাহিদার অন্যতম নির্দেশক গাড়ি ও মোটরসাইকেল বিক্রি এক বছর আগের তুলনায় যথাক্রমে ১৪ শতাংশ ও ১৯ শতাংশ কমে গেছে।
চীনে ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের দুর্বল চাহিদা এবং নিকেল, কয়লা ও টিনের মূল্যপতনের কারণে প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রমাগত প্রতিকূলতার কারণে স্বল্পমেয়াদে এ খাতগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়।
বাজেট ঘাটতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়নের পথে আসতে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টাই দুর্বল রফতানির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা এনেও সফল হতে পারছে না দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাজেট সংস্কারের কারণেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রেসিডেন্ট উইদোদোর প্রচেষ্টা কার্যকর হতে বিলম্বিত হচ্ছে।
গত সোমবার উইদোদো জাভায় দুটি বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চালু করেন। এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে বলেই প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা। দেশটির অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে চীনের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে গত মার্চে প্রেসিডেন্ট উইদোদো বেইজিং সফর করেছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/ও/সা