জ্বালানী তেলের দাম বাড়বে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: আগামী বছরেই জ্বালানী তেলের দাম বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম গড়ে ২৫ শতাংশ বাড়বে। ২০১৭ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দর হতে পারে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৫৫ ডলার, যা চলতি বছর গড়ে ৪৩ ডলার থাকবে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘কমোডিটি মার্কেট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
প্রতি তিন মাস পরপর বৈশ্বিক পণ্যবাজার নিয়ে ‘কমোডিটি মার্কেট আউটলুক’ নামের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে। এতে বিগত বছরগুলোতে পণ্যের দাম কত ছিল, আগামী বছরগুলোতে কত হতে পারে এবং কী কারণে হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে, তা উল্লেখ করা হয়।
সর্বশেষ প্রান্তিকের প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী বছর জ্বালানি তেলের পাশাপাশি শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধাতু, খনিজ পণ্য ও কৃষিপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে সোনার দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলো (ওপেক) দীর্ঘদিন পরে উৎপাদন সীমিত করার প্রস্তুতি নেয়ায় আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়ে ৫৫ ডলার হতে পারে। এর আগে জুলাইয়ে দেয়া প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫৩ ডলার হতে পারে। কিন্তু তেল উত্তোলন সীমিত করার সিদ্ধান্তের পর পূর্বাভাস পরিবর্তন করল সংস্থাটি। চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ছিল ৪৩ ডলার।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগামী বছরও বিশ্বব্যাপী ভালো ফলনের আশা করা হয়েছে। বিশেষত গমের ফলনে বিশ্বে নতুন রেকর্ড হবে। ২০১৬-১৭ এই সময়কালে বিশ্বে চাল উৎপাদন ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। বিশেষ করে এশিয়া অঞ্চলে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে চালের উৎপাদন বাড়বে। অন্যদিকে ভোজ্য তেল, বীজ উৎপাদন বাড়ায় আগামী বছর ভোজ্য তেলের দাম কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া আগামী বছর লৌহজাতসহ খনিজ সম্পদের মূল্য গড়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। জিঙ্ক বা দস্তার মূল্য বাড়তে পারে ২০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমতে পারে। আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম কমে হতে পারে ১ হাজার ২১৯ ডলার। কৃষি পণ্যের মূল্য আগামী বছর ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়ার পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর